১। কেন মানুষকে পরীক্ষা করা হয়?
أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ
মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি’ শুধু এ কথা বলায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে এবং তাদের পরীক্ষা করা হবে না?
وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ
নিঃসন্দেহে আমরা তাদেরও পরীক্ষা করেছি যারা এদের পূর্বে ছিল; বস্তুত আল্লাহ (তাদের মধ্যে) কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যাবাদী তা প্রকাশ করবেন।
(সূরা আনকাবূত; আয়াত: ২ ও ৩)
২। কেন মানুষের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা কখনোই পূর্ণ হবে না?
وَ عَسي أَنْ تَکْرَهُوا شَيْئاً وَ هُوَ خَيْرٌ لَکُمْ وَ عَسي أَنْ تُحِبُّوا شَيْئاً وَ هُوَ شَرٌّ لَکُمْ وَ اللَّهُ يَعْلَمُ وَ أَنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ
হয়ত তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ কর, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং (এতেও কোন বিস্ময় নেই যে,) হয়ত তোমরা কোন কিছুকে পছন্দ কর, অথচ তা তোমাদের জন্য ক্ষতিকর এবং আল্লাহ (সব কিছুই) জ্ঞাত, আর তোমরা অনবহিত।
(সূরা বাকারা; আয়াত: ২১৬)
৩। কেন মানুষের ওপর কঠিন দায়িত্ব অর্পিত?
لا يُکَلِّفُ اللَّهُ نَفْساً إِلاَّ وُسْعَها لَها ما کَسَبَتْ وَ عَلَيْها مَا اکْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না। যে সৎকর্ম করেছে তা নিজের লাভের জন্যই এবং যে অসৎ কর্ম করেছে তার ক্ষতি তার ওপরই বর্তাবে।
(সূরা বাকারা; আয়াত: ২৮৬)
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْراً
সুতরাং নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে।
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْراً
নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।
(সূরা ইনশিরাহ; আয়াত: ৫ ও ৬)
৪। কেন মানুষ নিরাশ?
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
এবং তোমরা শৈথিল্য প্রদর্শন কর না এবং (বিপদে) দুঃখ কর না, (কেননা,) যদি তোমরা খাঁটি বিশ্বাসী হয়ে থাক, তবে তোমরাই শ্রেষ্ঠ (ও প্রভাবশালী) হবে।
(সূরা আলে ইমরান; আয়াত: ১৩৯)
৫। মানুষ কিভাবে তার শত্রুর মোকাবিলা করবে?
يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَ صابِرُوا وَ رابِطُوا وَ اتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّکُمْ تُفْلِحُونَ
হে বিশ্বাসীগণ! (ধর্মের বিষয়ে) ধৈর্যধারণ কর এবং অপরকেও ধৈর্যধারণের শিক্ষা দাও; আর (জিহাদের জন্য) প্রস্তুত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(সূরা আলে ইমরান; আয়াত: ২০০)
وَ اسْتَعينُوا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلاةِ وَ إِنَّها لَکَبيرَةٌ إِلاَّ عَلَي الْخاشِعينَ
এবং (বিপদকালে) ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে প্রার্থনা কর, নিশ্চয় বিনীতরা ব্যতীত অপর সকলের পক্ষে এটা কঠিন।
(সূরা বাকারা; আয়াত: ৪৫)_
৬। মানুষের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট চুক্তি কি?
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
নিশ্চয় আল্লাহ বিশ্বাসীদের নিকট হতে তাদের জীবন ও তাদের ধন-সম্পদ ক্রয় করেছেন এর বিনিময়ে যে, বেহেশত তাদের জন্য হবে; (এটা এ কারণে যে,) তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে, অতঃপর তারা শত্রুদের হত্যা করে এবং নিজেরাও নিহত হয়। এটা একটা প্রতিশ্রুতি যা তিনি নিজের জন্য অবধারিত করেছেন এবং যা তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে বর্ণিত হয়েছে; এবং নিজ প্রতিশ্রুতি পালনে আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠ হতে পারে? সুতরাং তোমরা যে ব্যবসা আল্লাহর সাথে করেছ তাতে তোমরা খুশী হও, এটাই তো মহাসাফল্য।
(সূরা তাওবা; আয়াত: ১১১)
৭। মানুষ কার উপর নির্ভর করে?
فَقُلْ حَسْبِیَ اللّهُ لا إِلهَ إِلاّ هُوَ عَلَیْهِ تَوَکَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظیمِ
অতএব তুমি বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। আমি তাঁরই ওপর নির্ভর করি এবং তিনি মহাআরশের (বিশ্বজগতের ব্যবস্থাপনার) প্রভু।’
(সূরা তাওবা; আয়াত: ১২৯)
৮। মানুষ যখন ধৈর্য ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে?
وَلَا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ
আর আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না। কেননা, আল্লাহর করুণা হতে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’
(সূলা ইউসূফ; আয়াত: ৮৭)