এদিকে আল-আমাকে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ তথা আইএসআইএল এই হামলার দায়ভার গ্রহণ করেছে।
ইরাকের নিরাপত্তা উৎস এবং হাসপাতালের কথা অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণ করা হচ্ছে।
এক নিরাপত্তা উৎস জানিয়েছে, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলের আশেপাশে আগুন ধরেছে। আগুন ধরার ফলে আশেপাশে দোকানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাগদাদের গভর্নর নিরাপত্তা কমিটির সদস্য মুহাম্মাদ আর-রাবিয়ী এ ব্যাপারে বলেছেন, একটি গাড়ী পার্কিং-এ এই হামলা হয়েছে। পার্কিংয়ে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ফলে আরও ৯টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বলাবাহুল্য, জুলাই মাসে সন্ত্রাসীদের ঘটির কাছে এক হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছে।
রমজান মাসে রোজাদারদের ব্যক্তিদের মধ্যে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালায়। ইরাকের মুসলমানেরা ঈদুল ফিতরে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় উক্ত গাড়ি হামলা চালায়। ইরাকে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার এটি অন্যতম।
জুলাই মাসে কিরাদায় সন্ত্রাসী হামলায় ৩০০ জনের অধিক ইরাকী নাগরিক নিহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি এই হামলার ছবি প্রকাশ করে।
সম্প্রতি জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে: ইরাকে শুধুমাত্র আগস্ট মাসে সন্ত্রাসীদের সহিংসতা ও সশস্ত্র সংঘাতের ফলে ৬৯১ জন নিহত এবং ১০১৬ জন আহত হয়েছেন।
তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ ২০১৪ সালে ইরাকের পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা দখল করেছে। দখলকৃত এলাকার বাসিন্দাদের সাথে ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে।
অপরদিক থেকে ইরাকের সামরিক বাহিনী এবং সেদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা দায়েশের হাত থেকে রামাদি ও ফাল্লুজা শহর সহ অন্যান্য শহর মুক্ত করেছে।
ইরাকে সামরিক সূত্র জানিয়েছে ২০১৬ সালের মধ্যে তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ সর্বশেষ ঘাটি মসুল মুক্ত করে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবে।