IQNA

ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বের চক্রান্তে কারা নিরাপদ থাকবে?

23:02 - November 04, 2016
সংবাদ: 2601886
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমাম মাহদির (আ.) আবির্ভাবের যুগে পৃথিবী, বিশেষ করে যে অঞ্চলে ইমাম মাহদি (আ.) আবির্ভূত হবেন সেই অঞ্চল, যেমন ইয়েমেন, হিজায, ইরান, ইরাক, শাম (সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডান), ফিলিস্তিন, মিশর ও মাগরিবের (মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও লিবিয়া) যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা ছোট-বড় অনেক ঘটনা এবং বহু ব্যক্তি ও স্থানের নামকে শামিল করে।
ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বের চক্রান্তে কারা নিরাপদ থাকবে?

শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একই সঙ্গে তিনটি পতাকা চলতে থাকবে। সুফিয়ানী দুইট দলকে পরাজিত করে ইরাকের কিরকিসিয়ার (আসিরিয়ান)দিকে অগ্রসর হবে।

সুফিয়ানী কিরিকিসিয়ায় আরেক বাহিনীর সাথে চরম লড়াই করবে এবং সেখানে ১ লক্ষ মানুষ মারা যাবে অত:পর সুফিয়ানি কুফার উদ্দেশ্যে সৈন্য পাঠাবে।

অনেকে বলে থাকে কিরকিসিয়াই হচ্ছে আর্মাগেডন। কিন্তু বিষয়টি সঠিক নয় কেননা কিরকিসিয়া হচ্ছে ইরাকের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। আর আর্মাগেডনের ঘটনা ঘটবে ফিলিস্তিনে। অন্যদিকে সুফিয়ানির অভ্যুত্থানের সময়ে এবং ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে কিরকিসিয়ার যুদ্ধ হবে।

কিরকিসিয়ার যুদ্ধে বহু লোক মারা যাবে এবং উভয় পক্ষই হবে বিপথগামী। আল্লাহর রহমত তাদের সাথে থাকবে না। ঐ সময় এত বেশী হত্যাকাণ্ড ঘটবে যা আর কখনো ঘটে নি।

ইমাম জাফর সাদিক(আ,) থেকে বর্ণিত হয়েছে: মহান আল্লাহ কিরকিসিয়ায় একটি বিশাল দস্তরখানা বিছাবেন এবং আসমান থেকে আওয়াজ আসবে হে আসমান ও জমিনের সকল হিংস্র পশু পাখি তোমরা এই সকল অত্যাচারীদের গোশত খাও।

অন্যদিকে জালিম সুফিয়ানির সৈন্যরা সাইয়্যেদে খোরাসানির মজলুম এ ধার্মিক সৈন্যদেরকে নিহত করবে। এমনকি সুফিয়ারিা এত বেশী অত্যাচারী হবে যে তারা শিয়াদেরকে এবং তাদের সন্তানদেরকে ইমাম হাসান(আ.) ও হুসাইন(আ.)-এর নামে নাম হওয়ার কারণে ফুটন্ত তেলের কড়াইতে ভাজি করবে।

কিন্তু আঞ্চলিক পর্যায়ে ইমাম মাহদি (আ.)-এর সমর্থক দু’টি সরকার ও প্রশাসন ইরান আর ইয়েমেনে প্রতিষ্ঠিত হবে। মাহদি (আ.)-এর ইরানী সঙ্গী-সাথীরা তাঁর আবির্ভাবের বেশ কিছুকাল আগে নিজেদের একটি সরকার গঠন করে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। অবশেষে তারা ঐ যুদ্ধে বিজয়ী হবে।

ইমাম মাহদি (আ.)-এর আবির্ভাবের কিছুকাল আগে ইরানীদের মধ্যে দু’ব্যক্তি (একজন খোরাসানী সাইয়্যেদ তথা বিশ্বনবী-সা.'র বংশধর যিনি হবেন রাজনৈতিক নেতা এবং অপরজন শুআইব ইবনে সালিহ্ যিনি হবেন সামরিক নেতা) আবির্ভূত হবেন এবং এ দু’ব্যক্তির নেতৃত্বে ইরানী জাতি তাঁর আবির্ভাবের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কিন্তু ইমাম মাহদি (আ.)-এর আবির্ভাবের কয়েক মাস আগে তাঁর ইয়েমেনী সঙ্গী-সাথিগণের বিপ্লব ও অভ্যুত্থান বিজয় লাভ করবে এবং তারা বাহ্যত হিজাযে যে রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হবে তা পূরণ করার জন্য তাঁকে সাহায্য করবে।
captcha