বার্তা
সংস্থা ইকনা: ওই রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুদর্শার কথা শুনতে ও তাদের
সহায়তা করতে প্রতিনিধি দলটি শুক্রবার সেখানে যায়।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটির নেত্রী অং সান সুচি পরামর্শ নেওয়ার জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটিকে গঠন করা হয়। কমিটির
নেতৃত্ব দিচ্ছেন কফি আনান।
৯ সদস্যর কমিটির মধ্যে মিয়ানমারের ৬ জন ও ৩জন বিদেশি সদস্য রয়েছে। যার মধ্যে কফি আনানও একজন। ওই দলটি শুক্রবার
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঅঞ্চলের রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনে যায়।
সেপ্টেম্বরে ৯ সদস্যের কমিটি প্রথম মিয়ানমারে যায়।
বিমানবন্দরে রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিউ
পো তাদের স্বাগত জানায়। ওই সময় বিমানবন্দরে শতাধিক বিক্ষোভকারীও
উপস্থিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ওই প্রতিনিধি দলটিকে নিষিদ্ধ ও কফি আনানকে কমিটির প্রধান পদ থেকে প্রত্যাহার করতে আন্দোলন
করেন। বিক্ষোভকারীদের
মধ্যে মং চিন নামের এক কৃষক বলেন, রোহিঙ্গা ব্যাপারটি
সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরিণ বিষয়। তাই অভ্যন্তরিণ বিষয় নিয়ে বাইরের দেশের নাগরিকদের কোন হস্তক্ষেপ চায় না তারা।
মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতায় দেশটির রোহিঙ্গা
মুসলিমদের উপর সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ৮৬ জন রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত
হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ,
তাদের ঘর পুড়ানো ও সামরিক অভিযানের
সময় বেসামরিক রোহিঙ্গাদের হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। তবে দেশটির সরকার ও
সামরিক বাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্যই জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ‘কফি আনান কমিশন’
গঠন করা হয়।
iqna