IQNA

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া

0:12 - December 04, 2016
সংবাদ: 2602087
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে মালয়েশিয়া। মিয়ানমারের এসব মুসলিমের ওপর চালানো নির্যাতনকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতি নির্মূল করে দেওয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া


বার্তা সংস্থা ইকনা: গতকাল রোববার নির্যাতিত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে বিক্ষোভে নামছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

এতে উপস্থিত থাকার কথা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য কর্মকর্তাদেরও। মিয়ানমারের মুসলিমের ওপর চালানো নির্যাতনকে এথনিক ক্লিনজিংবা জাতি নির্মূল করে দেয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মালয়েশিয়া। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। একটি আঞ্চলিক ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক মিয়ানমার। এ কারণে মালয়েশিয়া সেই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

মিয়ানমার শুক্রবার বলেছে, মালয়েশিয়ার উচিত অন্য দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা। আসিয়ানভুক্ত সদস্য দেশগুলোর নীতি হলো কোনো সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। এ নীতিটি মালয়েশিয়ার অনুসরণ করা উচিত।

মিয়ানমারের এ কথার জবাবে গতকাল রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো নির্যাতনকে মালয়েশিয়া এথনিক ক্লিনজিংহিসেবে আখ্যায়িত করেছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি বলা হয়েছে, এথনিক ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে বিশেষ করে একটি জাতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই চর্চা বন্ধ হতেই হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এই নির্যাতন বন্ধ হতেই হবে।

উল্লেখ্য, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া ক্রমাগতভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের সমালোচনা করে আসছে। এতে সে দেশের নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরাও জড়িত রয়েছে। এই নির্যাতনের কারণে শত শত মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

২০১২ সালে একবার সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয় মুসলিমদের ওপর। তাতে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়। তারপর বর্তমানে যা চলছে তা সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তপাত।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রভাব পড়ছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো কিছু দেশে। এতে সব দেশই নিরাপত্তা ঝুঁকি অনুভব করছে।

এ নিয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মালয়েশিয়া ও পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোতে অধিক সংখ্যায় রোহিঙ্গার কারণে এটি এখন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

iqna
captcha