শাবিস্তানে উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র ইসলাম ধর্মে মুসলমানদেরকে যেসব গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গিবত তথা পরনিন্দা ও পরচর্চা। এমনকি হাদীস শরিফে অন্য ব্যক্তি সম্পর্কে গিবত করা স্বীয় মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণের ন্যায় জঘন্য ও ঘৃণিত কাজের সাথে তুলনা করা হয়েছে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্য কারও সম্পর্কে গিবতে লিপ্ত হবে, সে নিজ মৃত ভাইয়ের মাংস ভক্ষণ করবে। এর চেয়ে জঘন্য ও ঘৃণিত আর কিছু হতে পারে বলে আমাদের জানা নেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এক হাদীসে মিরাজের রাতে গিবতকারীকে কি অবস্থাতে দেখেছেন; তা অত্যন্ত সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন: মিরাজের রাতে আমি একদল লোককে দেখতে পেলাম, যারা অত্যন্ত ভয়ানকভাবে নিজ নিজ আঙ্গুল দাঁত দিয়ে চাবাচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে আমি জিবরাইলকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এদের অপরাধ কি যে এভাবে নিজেদের আঙ্গুল চাবাচ্ছে?
জিবরাইল বলল: এরা হচ্ছে গিবতকারী; অর্থাৎ এরা অন্যদের অনুপস্থিতিতে তাদের বদনাম প্রচার করে সম্মানহানি করত। (মুনতাখাবুল মিজানুল হিকমাহ, পৃষ্ঠা ৪৩৬)
ইমাম হুসাইন (আ.) একদা এক ব্যক্তিকে গিবত করতে দেখে তাকে বলেন: হে লোক! গিবত করা থেকে বিরত থাক; কেননা গিবত হচ্ছে জাহান্নামে কুকুরের খাদ্য। (তোহফুল উকুল, পৃষ্ঠা ২৪৫ এবং মুনতাখাবুল মিজানুল হিকমাহ, পৃষ্ঠা ৪৩৬)
ইমাম জাফর সাদীক (আ.) বলেন: একদা এক ব্যক্তি ইমাম হুসাইনের (আ.) নিকট এসে বলল যে, অমুক আপনাকে বিভ্রান্ত ও বিদআত সৃষ্টিকারী বলেছে। এ কথা শোনার পর তিনি বলেন: তুমি ঐ লোকের প্রতি অবিচার করেছ; কেননা থেকে কোন কথা শুনে তা রক্ষা করতে পার নি। আর আমার প্রতিও সুবিচার কর নি, কেননা আমার সম্পর্কে সে যে অনুচিত মন্তব্য করেছে, তা আমি জানতাম না। কিন্তু তুমি আমাকে জানিয়ে দিয়েছ। তাই গিবত বা পরচর্চা থেকে বিরত থাক; কেননা গিবত হচ্ছে জাহান্নামে কুকুরের খাদ্য। ( বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৫, পৃষ্ঠা ২৪৬ এবং মুনতাখাবুল মিজানুল হিকমাহ, পৃষ্ঠা ৪)