IQNA

গর্ভবতী মায়েদের বিষণ্ণতা দূর করতে কুরআনের বিশেষ পরামর্শ

2:46 - January 27, 2017
সংবাদ: 2602431
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায় যে, গর্ভাবস্থায় চলাফেরা এবং ব্যায়াম করলে বিষণ্ণতা দূর হয়। অথচ পবিত্র কুরআনে চৌদ্দশ বছর পূর্বে গর্ভবতী মায়েদের এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গর্ভবতী মায়েদের বিষণ্ণতা দূর করতে কুরআনের বিশেষ পরামর্শ

বার্তা সংস্থা ইকনা: সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায় যে, গর্ভাবস্থায় এবং গর্ভের পরে মায়েদের বিষণ্ণতা দূর করার জন্য সবচেয়ে সহজ ও উত্তম চিকিৎসা হচ্ছে হালকা ব্যায়াম করা।

গবেষকগণ গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন দূর করার জন্য বিশেষ গবেষণা চালিয়েছে। এই গবেষণার মাধ্যমে তিনটি স্তরে গর্ভাবস্থায় মায়েদের মানসিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। "ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে", "ব্যায়ামের কোর্স শেষ করার পরে (৮ সপ্তাহ)" এবং "ব্যায়ামের কোর্সের ৪ সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর"।

আমেরিকার ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালিত "ফিজিওথেরাপি" ম্যাগাজিনে এই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, প্রথম সন্তান প্রসবের পরে যে সকল মায়েরা বিষণ্ণতার মারাত্মক ঝুঁকি সম্মুখীন ছিল, নিয়মিত এবং বিশেষ ব্যায়াম কারার ফলে দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের পর মায়েদের মাঝে বিষণ্ণতার ঝুঁকি অর্ধেকে হ্রাস পেয়েছে।

এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যে সকল মহিলারা গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করেছে তাদের তুলনায় গর্ভাবস্থায় যারা ব্যায়াম করেনি তারা অধিক বিষণ্ণতায় ভুগেছে।


বিষণ্ণতা দূর করতে কুরআনের বিশেষ পরামর্শ

বৈজ্ঞানিক গবেষণায় গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা দূর করতে ব্যায়াম করার কথা বলা হয়েছে। অথচ পবিত্র কুরআনে চৌদ্দশ বছর পূর্বে এই ব্যাপারে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ হযরত মারইয়াম (সা. আ.)এর উদ্দেশ্য বললেন, খেজুর গাছের কাণ্ড নাড়া দাও এবং দুঃখ কর না।

فَنَادَئهَا مِن تَحْتِهَا أَلَّا تَحْزَنِي قَدْ جَعَلَ رَبُّكِ تَحْتَكِ سَرِيًّا(24) وَ هُزِّى إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا(25) فَكُلِي وَ اشْرَبىِ وَ قَرِّى عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولىِ إِنىّ‏ِ نَذَرْتُ لِلرَّحْمَانِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنسِيًّا(26)

)২৪) তখন সে (জিবরীল) তার নিম্নদেশ থেকে তাকে আহ্বান করে বলল, ‘তুমি দুঃখ কর না, নিঃসন্দেহে তোমার প্রতিপালক তোমার পাদদেশে এক প্রস্রবণ সৃষ্টি করেছেন। (২৫) আর খেজুর গাছের কাণ্ড নিজের দিকে নাড়া দাও, তা হতে তোমার ওপর সুপক্ব-তাজা খেজুর ঝরে পড়বে।’ (২৬) সুতরাং আহার কর, পান কর এবং নয়ন জুড়াও; এবং মানুষের মধ্যে কাউকেও যদি তুমি দেখ তবে (ইঙ্গিতে) বল, ‘আমি দয়াময়ের নিমিত্ত রোযা মানত করেছি। সুতরাং (আজ) আমি কোন মানুষের সঙ্গে কোনক্রমেই কথা বলব না।

মহান আল্লাহ সূরা মারইয়ামের ২৪ থেকে ২৬ নম্বর আয়াতে হযরত মারইয়ামের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তুমি দুঃখ করো না। এরপর তিনি খেজুর গাছ নাড়া দেয়ার কথা বলেছেন।

iqna


captcha