বার্তা সংস্থা ইকনা: নির্বাচন কমিশনকে দেয়া চিঠিতে বিজেপি বলেছে, ‘প্রত্যেক নির্বাচনি বুথে বোরকা পরে আসা নারীদের পরীক্ষা করার পরেই তবে ভোট দিতে দেয়া হোক, তাহলে ভুয়া ভোট বন্ধ হবে।
বিজেপি’র রাজ্য ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেপিএস রাঠোরের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে দেয়া চিঠিতে এ ব্যাপারে প্রত্যেক বুথে নারী পুলিশ মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনি বুথগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় নারী ভোটার বোরকা পরে ভোট দিতে আসছেন। তাদের সঠিক পরিচয় জানার জন্য বুথে অতিরিক্ত নারী পুলিশ মোতায়েন করতে হবে যাতে ভোটার পরিচয়পত্র সঠিকভাবে যাচাই করা হয় এবং ভুয়া ভোট বন্ধ করা যায়।
বিজেপি মউ এবং বালিয়াতে স্পর্শকাতর এবং অতিস্পর্শকাতর বুথের তালিকা সংযুক্ত করে ওইসব এলাকায় প্যারামিলিটারি ফোর্স ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছে। তারা এ জন্য নারী পুলিশ এবং প্যারা মিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করতে হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে।
বিজেপি’র ওই পদক্ষেপ সম্পর্কে কংগ্রেস মুখপাত্র জিশান হায়দার বলেন, ‘বিজেপি’র পরাজয় সুস্পষ্ট হওয়ায় তারা এ ধরণের হাস্যকর কথা বলছে। রাজ্যে ৫ম দফা পর্যন্ত ভোট সম্পন্ন হয়ে গেলেও বিজেপি’র সেসময় এসব কথা মনে পড়েনি কেন? এতেই স্পষ্ট যে তারা পরাজয়ের কথা আগেই জেনে গেছে।’
রাজ্যে ক্ষমতাসীন সপা দলের এমপি নরেশ আগ্রোয়াল বলেন, ‘এ ধরণের ছোট কাজে বিজেপি’র মানসিকতা প্রকাশ পায়। যখন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের স্লিপ দেয়া হচ্ছে ভোট দেয়ার জন্য তখন ভুয়া ভোটার হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপি’র লোকদের অভ্যাস পর্দার ভেতরে উঁকি দেয়ার। এদের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যখন বাথরুমকেও ছাড়ে না তখন গোটা দলের পরিস্থিত কী হতে পারে বোঝাই যায়। এটা ওদের হতাশার চিহ্ন। এরা সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে একটি ধর্মকে টার্গেট করছে।’
অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার পি কে পাণ্ডে বিজেপির পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ওই চিঠিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
উত্তর প্রদেশে ৪০৩ আসনের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে ৫ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। ফল ঘোষণা হবে ১১ মার্চ।
পার্সটুডে