ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের মাধ্যমে আমাদের পরিস্থিতি উন্নতি হবে

নববর্ষের দোয়াতে যে বলা হয় হে আল্লাহ! আমাদের অবস্থাতে উত্তম অবস্থায় পরিবর্তন করুন। এটার অর্থ হচ্ছে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের মাধ্যমে আমাদের পরিস্থিতিকে উন্নত করুন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: হে আল্লাহ! আমাদের অবস্থাকে ভাল অবস্থাতে পরিবর্তন করে দিন। «یَا مُحَوِّلَ الْحَوْلِ وَ الْأَحْوَالِ حَوِّلْ حَالَنَا إِلَی أَحْسَنِ الْحَالِ»؛ یعنی «اَللّهُمَّ عَجِّل لِوَلیِّکَ الفَرَج»؛  আর এই অবস্থা একমাত্র ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের মাধ্যমেই অর্জিত হবে।

ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের মাধ্যমে সকল অন্যায় অত্যাচার দূরীভূত হবে এবং সর্বত্র ন্যায়পরায়ণতা ও সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।

ইমাম মাহদী (আ.)-এর ন্যায়পরায়ণ হুকুমতে সুশীল সমাজ গঠনের জন্য কোরআন ও আহলে বাইতের নির্দেশ মোতাবেক কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে৷ আর তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন প্রণালী আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য প্রস্তুত হবে৷ যে বিশ্ব ঐশী হুকুমতের আয়ত্তে থাকবে সেখানে সৎকর্মের বিকাশ ঘটবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবহার করা হবে৷ সেখানে সবার অধিকারকে সমানভাবে প্রদান করা হবে এবং সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা প্রকৃতার্থে বাস্তবায়িত হবে৷

রাসূল (সা.) বলেছেন: তোমাদেরকে মাহদীর সুসংবাদ দান করছি যার প্রতি আসমান ও জমিনের সকলেই রাজি ও সন্তুষ্ট থাকবে। আর কেনইবা তারা সন্তুষ্ট থাকবে না যখন জানতে পারবে যে ,দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও সৌভাগ্য কেবলমাত্র তার ঐশী হুকুমতের ছায়াতলেই অর্জন করা সম্ভব।

ইমাম আলী (আ.) ইমাম মাহদী সম্পর্কে বলেছেন:  আল্লাহ তায়ালা তাকে ও তার সাহায্যকারীদেরকে ফেরেশতাদের মাধ্যমে সাহায্য করবেন এবং নিজের নিদর্শনের মাধ্যমেও তাকে সাহায্য করবেন। তাকে পৃথিবীর উপর বিজয় দান করবেন এবং সকলেই তার দিকে আকৃষ্ট হবে।

তিনি পৃথিবীকে ন্যায়নীতিতে আলোকিত করবেন। সকলেই তার প্রতি ঈমান আনবে এবং কাফেরদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না ,অত্যাচারী থাকবে না ,এমনকি পশু-পাখিরাও একত্রে বসবাস করবে। পৃথিবীর সকল সম্পদ বেরিয়ে আসবে ,আসমানও তার বরকত বর্ষণ করবে এবং জমিনের সকল গুপ্তধন প্রকাশ পাবে। সুতরাং তাদের প্রতি সুসংবাদ যারা তার সময়কে দেখবে এবং তার কথা শুনতে পাবে। সূত্র:  shabestan