
বার্তা সংস্থা ইকনা: সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, "বিশ্ব এখন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের নতুন এক উপদ্রবের মুখোমুখি। এই উপদ্রব নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, মানুষের শান্তি বিনষ্ট করছে। জঙ্গিবাদ আজ কোনো নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। তা না হলে আমরা আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাব।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিশ্ব আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বৈশ্বিক ক্ষুধার ক্ষেত্রেও। তবুও বিশ্বের প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ এখনও অপুষ্টিতে ভুগছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর এক বিরাট সংখ্যক শিশু পুষ্টির অভাবে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। অসুখে-বিসুখে চিকিৎসার সুবিধাবঞ্চিত তারা। সুযোগ পাচ্ছে না বিদ্যালয়ে যাওয়ার। অথচ প্রাচুর্যে ভরা এই বিশ্বে মানবজাতির বেঁচে থাকার সব ধরনের রসদ বিদ্যমান। একটু সহানুভূতি, সহযোগিতা, পরস্পরের প্রতি মমতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বিশ্বকে এক নিমিষেই ক্ষুধামুক্ত করতে পারে।”
শেখ হাসিনা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর সহায়তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করার আহ্বান জানান।
এবারের সম্মেলনের থিম বা মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন’। শিশুর অধিকার বিষয়ে কাজ করে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সারথী সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
বিশ্বের ১৩১টি দেশের ৬৫০ জন সংসদ সদস্য, ৫৩ জন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার এবং ২০৯ জন নারী পার্লামেন্টারিয়ানসহ মোট এক হাজার ৩৪৮ জন প্রতিনিধি এই বৃহৎ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বৈষম্য নিরসন, নারীর ক্ষমতায়নে সংসদের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
সম্মেলনের অন্যান্য কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। আইপিইউর একজন মুখপাত্র দিনের কর্মসূচি শেষে মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। সম্মেলনে যোগ দিতে আসা অতিথিরা নগরীর ১৫টি হোটেলে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিরেস্লাভ ইয়ানকা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেসের বাণী পড়ে শোনান। সম্মেলন উদ্বোধনের সঙ্গে আইপিইউ ওয়েব টিভির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে স্বারক ডাকটিকিটি উদ্বোধন করেন তিনি। সূত্র: parstoday