ইমাম সাজ্জাদ (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, শাবান এমনই ফজিলতপূর্ণ মাস; যে মাসে আল্লাহ তায়ালা স্বীয় রহমত ও বরকতের মাধ্যমে বান্দাদের সমস্ত চাহিদা পূরণ করেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসে প্রবেশ করবে, সে আল্লাহর রহমতের অন্তর্ভূক্ত হবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মাদ ইবরাহিম সিরাজ শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে শাবিস্তান প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, শাবান মাসের ফজিলত ও গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে রাসূলের একটি হাদীসে বিশেষভাবে আমাদের সামনে এসে যায়; উক্ত হাদীসে তিনি উল্লেখ করেছেন- শাবান হচ্ছে আমার মাস, যে কেউ এ মাসে আমাকে সাহায্য করবে আল্লাহ তায়ালা তার উপর বিশেষ রহমত ও বরকত নাজিল করবেন। এখানে রাসূলকে সা. সাহায্য করা বলতে রাসূলের (সা.) সুন্নতের উপর আমল করাকে বুঝান হয়েছে।
তিনি শাবান মাসে ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ বেশি বেশি পাঠের কথা উল্লেখ করে বলেন: হিজরী বছরের তিনটি মাস তথা রজব, শাসান ও রমজান এ তিনটি মাসেই অধিক ইস্তেগফার ও দরুদ শরিফ পাঠের সুপারিশ করা হয়েছে। অবস্য তম্মধ্যে শাবান মাসের উপর বেশি তাগিদ দেয়া হয়েছে।
হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মাদ ইবরাহিম সিরাজ শাবান মাসে রোজা পালনের বিশেষ ফজিলতের প্রতি ইশারা করে বলেন: শাবান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আমল হচ্ছে রোজা পালন। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ যদি এ মাসের সবগুলো রোজা রাখতে সক্ষম না হয়, তবে কমপক্ষে দু’তিন দিন হলেও যেন রোজা পালন করে; কেননা এ মাসের রোজার পুরুস্কার হচ্ছে বেহেশত। সূত্র: shabestan