শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মাওলা আলী(আ.) বলেন, علی علیه السلام : «و یجیء له اصحاب الکهف» আসহবে কাহফের সদস্যরা দীর্ঘ ঘুমের পর জেগে উঠবেন এবং ইমাম মাহদীকে সাহায্য করবেন। (আল হেদায়া, পৃ: ৩১, ইরশাদুল কুলুব পৃ: ২৮৬)
সূরা কাহাফের ১১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে:
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
(হে নবী!) আপনি বলুন, (দৈহিক দৃষ্টিতে) আমি তো তোমাদের মতই মানুষ, (তবে আত্মিক উৎকর্ষ ও ঐশী ধারণক্ষমতার অধিকারী হওয়ার কারণে) আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় তথা ওহী নাজিল হয় যে, আমার ও তোমাদের উপাস্য কেবল এক অদ্বিতীয় উপাস্য। সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাতের আশা করে সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের উপাসনায় কাউকে তাঁর অংশী না করে। (কাহফ-১১০)
এ আয়াত সূরা কাহাফের শেষ আয়াত। এ আয়াতে রাসূলকে (সা.) এটা জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তিনি যেন এটা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, আমি তোমাদের মতই রক্ত-মাংসের মানুষ, তবে একমাত্র পার্থক্য হল, আমার কাছে ওহী বা খোদায়ী প্রত্যাদেশ নাজিল হয়। অর্থাৎ আমি আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে প্রচার করার বা জানিয়ে দেয়ার দায়িত্ব পালন করি। এ বাণীতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে উপাস্য মনে না করার ও সৎ কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এ নির্দেশ মেনে চললে পরকালে পুরস্কার হিসেবে বেহেশত দেয়া হবে এবং আল্লাহ তাদের অনুগ্রহ করবেন। এ আয়াতে মুমিনদেরকে কাজেকর্মে আন্তরিক তথা খাঁটি তৌহিদপন্থী বা একত্ববাদ মেনে চলার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে বলা হচ্ছে এবং শির্ক ও লোক-দেখানো কাজকর্ম যা শির্কের সমতুল্য তা থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।