বার্তা সংস্থা ইকনা: গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সহ কয়েকটি দেশ। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করে আসছে কাতার। সম্পর্ক পুনর্গঠনে কাতারেক ১৩টি শর্তও বেধে দেয় সৌদি জোট। শর্তের মধ্যে ইরানকে সমর্থন দেওয়া থেকে সরে আসার কথাও বলা হয়েছিলো।
রস হ্যারিসন মনে করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যাই করুক না কেন, এটা আসলে ইরানের শক্তি বৃদ্ধি করছে। আর কাতারকে কেন্দ্র করে দুর্বল হয়ে পড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের জোট।’
ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক আরও বলেন, সৌদি আরব হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য কাতারর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু এতে করে আরব বিশ্বে সৌদি আরবের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং লাভবান হচ্ছে ইরান।
সিরিয়া আর ইয়েমেনকে নিয়ে বরাবরই মুখোমুখি অবস্থান করছে ইরান ও সৌদি আরব। আর রিয়াদের ক্ষমতা কমে গেলে জর্ডান আর লেবাননে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয় উঠবে বলেও সতর্ক করে দেন রস হ্যারিসন। তখন আরব বিশ্বে ইরানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তার মতে, আলাদা হয়ে যাওয়ায় ইরান ও তুরস্কের প্রতি আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে কাতার। আর সৌদি আরব তার ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে সরে যেতে থাকবে।
হ্যারিসন মনে করেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে সৌদি আরবকে। ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেন যুদ্ধের কারণ ইতোমধ্যেই আরব বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। কূটনৈতিক সংকটে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছ আরব দেশেগুলো। এতে করে নেতৃত্বে থাকা সৌদি আরবের ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি। আর লাভ হচ্ছে ইরানের। এমটিনিউজ২৪