আজ ফারুক আহমেদ দারকে দিল্লি থেকে এবং অন্য নেতাদের কাশ্মিরের শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে আনা হচ্ছে।
বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ গত এক মাসের মধ্যে ওই নেতাদের বেশ কয়েকবার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এনআইএ গত ৪ জুন জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদাতা চক্রের খোঁজ পেতে শ্রীনগর, দিল্লি ও হরিয়ানার মোট ৩৩টি স্থানে তল্লাশি চালায়। এতে হিজবুল মুজাহিদীন ও লস্কর ই তাইয়্যেবার লেটারহেড, নগদ আড়াই কোটি টাকা ও ৮৫টি সোনার কয়েন উদ্ধার হয়।
গত মাসে লস্কর ই তাইয়্যেবা প্রধান হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন আইনে (পিএমএলএ) মামলা রুজু করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
জম্মু-কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে মদত দেয়ার জন্য দেশের ভিতর ও বাইরে থেকে হুন্ডি এবং অন্য বেআইনি উপায়ে কীভাবে অর্থ পাচার করা হচ্ছে, তা তদন্ত করছে ইডি।
নঈম খান নামে এক কাশ্মিরি নেতা উপত্যকায় নিরাপত্তাবাহিনীকে পাথর ছুঁড়ে মারা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য লস্কর ই তাইয়্যেবাসহ কয়েকটি সংগঠনের কাছে থেকে টাকা পেয়েছে বলে স্বীকার করেছে এমন দাবি করা হচ্ছে। ওই ঘটনার কয়েকদিন পরেই এনআইএ দেশের বিভিন স্থানে তল্লাশি চালায়।
এনআইএ’র দাবি, হিজবুল মুজাহিদীন, লস্কর ই তাইয়্যেবা ও অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজশে হুররিয়াত কনফারেন্স অবৈধভাবে ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করছে। কাশ্মির উপত্যাকায় অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ওই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও এনআইএ দাবি করেছে।