বার্তা সংস্থা ইকনা: কেউ যদি এই ছবিটি প্রথম দেখে তাহলে সে বুঝতে পারবে না যে, এটি ‘বোরকা’ নাকি বাসের সিট? এই ছবি নিয়েই এখন বিশ্বব্যাপী তোলপাড় চলছে। ছবিটি ছিল একটি খালি বাসের।
"প্রথম জন্মভূমি" নামক এক অভিবাসী বিরোধী দল এই ছবিটি তাদের ফেসবুকের পেজে আপলোড করে।
এই ব্যাপারে এক সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী লিখেছে, অনেক ভয়ঙ্কর, এর উপর অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা করতে হবে। এটি দেখে বোঝার সাধ্য নেই যে, এটির মধ্যে কেউ রয়েছে কিনা। এর মধ্যে কোন সশস্ত্র সন্ত্রাসী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জোহান স্লাত্তাভিক নামের এক ব্যক্তি ছবিটি পোস্ট করে জিজ্ঞেস করেছিলেন "এটি দেখে মানুষ প্রথমে কী মনে করবে?" এমন ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে ব্যাঙ্গাত্ম অনেক পোস্ট আসতে শুরু করেছিল।
"আমিতো প্রথমে দেখে মনে করেছিলাম এখানে সব বোরকা পরা নারী বসে আছে। পরে দেখি এগুলো সব চেয়ার। নারীরা যে বোরকা পড়াটা বিপজ্জনক তা এখনো সবাই মনে করে" -লিখেছিলেন একজন।
আরেকজন লিখেছিলেন "আহা, অসহায় নারী। তারা দাস"। স্লাত্তাভিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো সাড়া পায়নি বিবিসি। কিন্তু ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি সে সময় একঘেয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন আর সে কারণে ওই ছবিটি পোস্ট করে তিনি দেখতে চেয়েছিলেন মানুষ তা দেখে কী প্রতিক্রিয়া দেয়।
সিন্ড্রে বেয়ার নামে এক ব্যক্তি যখন ওই ছবিটি শেয়ার করে তখন সেটি আরো বেশি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করেন বেয়ার। ওই গ্রুপটির সদস্য হয়ে ছবিটি শেয়ার দেয়া খুব সহজ কাছ ছিল বলে জানান তিনি।
"আমি এমন একটি ছবি দেখে ভেবেছিলাম এ ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে প্রতিক্রিয়া জানানোর এটা একটা সুযোগ। প্রথমে ভেবেছিলাম স্লাত্তাভিক মজা করার জন্য পোস্টটি দিয়েছেন। কিন্তু এটি যখন পাবলিক হয়ে যায় তখন দেখলাম ওই গ্রুপটি তা নিয়ে অখুশি ছিল। খালি বাসের সিটকে তারা বোরকা পরিহিত নারী মনে করেছে এই ভুলের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রূপ করা হচ্ছিল" বলে বেয়ার।
ফ্রান্সে সর্বপ্রথম ২০১১ সালে নেকাব ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফ্রান্সের পর বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ইতালি, স্পেন, ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডও নেকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এছাড়াও জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং নেদারল্যান্ডের সংসদেও বোরখার নেকাবের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে এখনো এই আইনটি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
Iqna