শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম রেজা(আ.) ও ইমাম মাহদীর(আ.) মধ্যে সাদৃশ্য হচ্ছে, মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের উচিত শত্রুর মোকাবেলায় নতজানু না হয়ে ইমাম রেজার মত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া।
ইমাম রেজা(আ.) হচ্ছেন আমাদের অষ্টম ইমাম তিনি শত্রুর মোকাবেলায় কখনোই দুর্বল হন নি। শত্রুরা তাকে লোভ দেখিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে সুবিধা আদায় করতে চাইত কিন্তু ইমাম কোন প্রলোভনে দুর্বল না হয়ে বলিষ্ঠভাবে শত্রুর মোকাবেলা করেছেন।
ইমাম রেজা(আ.) যখনই ইমাম রেজার কথা বলতেন বা তার সামনে ইমাম মাহদীর আলোচনা হত তখন তিনি উঠে দাড়িয়ে মাথায় হাত রেখে বলতেন: «اللهم عجل فرجه و سهل مخرجه»؛ হে আল্লাহ!তার আবির্ভাব ত্বরান্বিত ও সহজ করুন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইত তথা মাসুম বংশধররা ছিলেন খোদায়ী নানা গুণ ও সৌন্দর্যের প্রকাশ। তাঁরা ছিলেন মানব জাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ বা পরিপূর্ণ আদর্শ। তাঁদের মহত গুণ ও যোগ্যতাগুলো সত্য-সন্ধানী এবং খোদা-প্রেমিকদের জন্য অফুরন্ত শিক্ষা ও প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
ইমাম রেজা (আ.) তাঁর অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে সবার জন্য সর্বোত্তম ও বোধগম্য-ভাবে ইসলামের বিশ্বাসগুলো তুলে ধরেছিলেন। আর তিনি এত গভীর ও ব্যাপক জ্ঞানের অধিকারী এবং সেসবের প্রচারক ও বিকাশক ছিলেন বলেই তাঁকে ‘আলেমে আলে মুহাম্মাদ’ বা বিশ্বনবী (সা.)’র আহলে বাইতের আলেম শীর্ষক উপাধি দেয়া হয়েছিল।
নবীবংশের প্রত্যেক ইমামের জীবনই যেন মহাসাগরের মতই মহত গুণ, জ্ঞান, আর কল্যাণের নানা ঐশ্বর্যে কুল-কিনারাহীন এবং শাহাদাতের স্বর্গীয় মহিমায় সমুজ্জ্বল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভাষ্য অনুযায়ী ইমামদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রাজনৈতিক সংগ্রাম। ইসলামের মধ্যে নানা বিকৃতি চাপিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিলেন বিশ্বনবী (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের ইমামগণ।