IQNA

মসজিদের নানামুখী কার্যক্রম ও ব্যবহার থাকা উচিত

21:10 - August 12, 2017
সংবাদ: 2603619
গাদীরে খূম মসজিদের খতিব ও ইমাম বলেন, আমি বিশ্বাস করি একটি মসজিদের নানামুখী কার্যক্রম থাকা উচিত, মসজিদকে শুধুমাত্র নামাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়।
মসজিদের নানামুখী কার্যক্রম ও ব্যবহার থাকা উচিত
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) তার ইসলামী কার্যক্রমকে মসজিদ থেকেই শুরু করেন। আর সেই আহ্বান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

মসজিদ ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, যেমন কোরআনের ক্লাস, শিক্ষাদীক্ষা, তাফসীর ও মানুষের হেদায়েতের কাজ পরিচালনা করতে হবে।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে মসজিদের ভূমিকা: ইসলামের প্রাথমিক যুগে সমাজ পরিবর্তনে মসজিদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। মসজিদ ছিল একই সাথে দাওয়াতি কাজের প্রাণকেন্দ্র এবং রাষ্ট্রীয় ভবন। দাওয়াতি কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালনা করা হত। বিভিন্ন বিষয়ের পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখানেই সম্পাদন করা হত।

বিভিন্ন দেশ ও এলাকা থেকে আগত প্রতিনিধি ও মেহমানদেরকে রাসূল (সা.) মসজিদেই স্বাগত জানাতেন। সাহাবিয়ে কিরামের সাথে মসজিদেই তিনি মিলিত হতেন এবং তাদের শিক্ষাদান করতেন। এক কথায়: মসজিদ ছিল তৎকালীন মুসলিম সমাজের যাবতীয় কাজের কেন্দ্রস্থল।

ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যস্ততাকে এড়িয়ে দৈনিক পাঁচবার মসজিদে যেতে সক্ষম সেই রবের সন্তুষ্টির জন্যই অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার মানসিকতা তার অন্তরে জাগ্রত হয়। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: إن الصلاة تنهى عن الفحشاء والمنكر

নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। (সুরা আল আনকাবুত ৪৫)

মসজিদে গিয়ে ঈমান নবায়ন, সৎকাজ সম্পাদন এবং অন্য কাজ থেকে বিরত থাকার অনুভূতি ও মানসিকতা পোষণ করার জন্য মসজিদে তা’লীমের আসর থাকা খুবই জরুরী। একটি সুশীল সমাজ গঠনে মসজিদের ভূমিকা নিম্নরূপ:

তা’লীম ও তরবিয়ত:

জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে একমাত্র ইসলামী শরীয়তই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বারোপ করেছে। হাদীস শরীফে এসেছে

قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- طلب العلم فريضة على كل مسلم -أخرجه ابن ماجه، صحيح

রাসূল (সা.) বলেছেন: প্রতিটি মুসলিমের উপর জ্ঞানার্জন করা ফরয। (ইবনু মাযাহ,সহীহ)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (আল কুরআনের) একটি হরফ (অক্ষর) পাঠ করল তার জন্য একটি উত্তম প্রতিদান (একটি নেকী বা পূর্ণ)। আর প্রতিটি নেকীই দশ গুন পরিমাণ (দেওয়া হবে)। আমি  الم (আালিফ,লাম,মীম) কে এক হরফ হিসেবে গণ্য করিনা;বরং আলিফ (ا) একটি হরফ, লাম (ل) একটি হরফ এবং মীম (م) একটি হরফ। সুতরাং উক্ত হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী কেউ الم  একবার উচ্চারণ করলেই ৩০টি নেকী  অর্জন করবে।
captcha