হারাম খাবার ইমামের ডাকে সাড়া দিতে বাধা দেয়
আশুরার দিন সকালে ইমাম হুসাইন আ.) কুফাবাসীদেরকে নাম ধরে ডেকে বলেছিলেন, তোমরা কি আমাকে চিঠি লেখ নি এবং আমাকে এখানে আসার জন্য বল নি?
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: হুজ্জাতুল ইসলাম আলে আলী বলেন, কুফাবাসীরা ইমাম হুসাইনকে ডেকে তাকে একা ফেলে দেয় এবং তার ডাকে সাড়া দেয় নি। কেননা তাদের উদরসমূহ হারামে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
ইমাম হুসাইন (আ.) মক্কা থেকে কুফা আসার পথে যার কাছেই কুফাবাসীদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তারা সবাই বলেছিল, قلوبهم معک، سیوفهم علیه যে তাদের অন্তরসমূহ আপনার সাথে রয়েছে কিন্তু তাদের তলোয়ারসমূহ আপনার বিরুদ্ধে রয়েছে।
ইবনে জিয়াদের নির্দেশে ইয়াজিদের সৈন্যরা ইমাম হুসাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইমাম হুসাইন(আ.) তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মহানবীর হাদিসকে স্মরণ করিয়ে দেন তার মর্যাদা সম্পর্কে বলেন। কিন্তু তারা দুনিয়ার মায়ায় এবং জীবনের ভয়ে ইমামের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় তখন ইমাম তাদের উদ্দেশ্যে বলেন: مُلِئَتْ بُطُونُكُم مِنَ الحَرَامِ؛ তোমাদের উদরসমূহ হারামে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে আর সে জন্যই তোমরা আমার কথা শুনছ না।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: অবৈধ পথে সম্পদ উপার্জন করলে মানুষের সকল ইবাদত নষ্ট তথা বৃথা হয়ে যাবে। তিনি বিদায় হজেও বলেছিলেন: হে জনসকল! তোমরা হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করবে, আল্লাহ তোমাদের সকল কর্ম দেখেন। যদি জীবনে উন্নতি করতে চাও তাহলে হালাল তথা বৈধভাবে উপার্জন করবে।
ইমাম হুসাইন(আ.) কারবালার ময়দানে বলেছিলেন: আজ আমি যে তোমাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছি আর তোমরা আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছ না এর মূল কারণ হচ্ছে তোমাদের উদরসমূহ হারামে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। শাবিস্তান
