IQNA

আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর দৃষ্টিতে অন্তর অন্ধ হওয়ার কারণ

14:33 - September 20, 2017
সংবাদ: 2603875
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী নাহজুল বালাগার ১৯৩ নং হিকমাতে মানুষের অন্তর চক্ষু অন্ধ হয়ে যাওয়ার দলিল সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলীর দৃষ্টিতে অন্তর অন্ধ হওয়ার কারণ
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: নাহজুল বালাগা মাওলা আলীর রেখে যাওয়া এমন একটি জ্ঞানের ভাণ্ডার যা আজীবন মানুষের অন্তরকে পরিতৃপ্ত করতে পারে।

মাওলা আলী(আ.) বলেন, إِنَّ لِلْقُلُوبِ شَهْوَهً وَإِقْبَالًا وَإِدْبَاراً، فَأْتُوهَا مِنْ قِبَلِ شَهْوَتِهَا وَإِقْبَالِهَا فَإِنَّ الْقَلْبَ إِذَا أُکْرِهَ عَمِیَ؛  মানুষের অন্তরে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ রয়েছে। মানুষ যখন তার মনের আকর্ষণ অনুযায়ী কাজ করে তখন সে ভাল থাকে আর যখন তার মনে বিপরীতে কিছু করে তখন তার অন্তর আত্মা অন্ধ হয়ে যায়।

মিশরের সাবেক মুফতি শায়খ মোঃ আবদুহ স্বদেশের বাইরে গিয়ে নাহজুল বালাগার সাথে পরিচিত হন। নাহজুল বালাগায় বিষয়গত যে বৈচিত্র্য রয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই গ্রন্থটি পড়ে যেভাবে পরিতৃপ্তি লাভ করেন,তা দেখে তিনি কেবলই বিস্মিত হন। এই বিস্ময় তাঁর ভেতর একটা বোধ ও উপলব্ধি জাগিয়ে দেয়,তাহলো তিনি অত্যন্ত মূল্যবান একটি সম্পদ বা রত্ন ভাণ্ডারের সন্ধান পেয়েছেন।

হযরত আলী (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নিজে নেয় সে লাভবান হয়। সে নিজেকে ভুলে থাকে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ভয় পায় সে নিরাপদ হতে পারে। যে উপদেশ গ্রহণ করে সে বিচক্ষণ হয়। আর যে বিচক্ষণ হয় সে বোধ লাভ করে। আর যে বোধশক্তি লাভ করে সে জ্ঞানের অধিকারী হয়।

হাজার বছর আগে আলী (আ.) এর কথামালার বাইরেও তাঁর খুতবা বা ভাষণগুলো, চিঠিগুলো, দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি গুলোকে যিনি একত্রিত করে নাহজুল বালাগা নামে সংকলিত করেছেন, সেই মহান সংকলক সাইয়্যেদ রাজি বলেন-আলী (আ.) এর ব্যাপারে বিস্ময় হলো পরহেজগারি, জাগ্রত ও সচেতন হবার জন্যে তিনি যেসব বক্তব্য রেখেছেন, মানুষ সেসব শুনে গভীরভাবে চিন্তা করতো যে যিনি এই ধরনের বক্তব্য রাখেন তিনি পার্থিব সম্পদ চিন্তা থেকে দূরে থাকা এবং পরহেজগারির বাইরে আর কিছুই চেনেন না। শাবিস্তান
captcha