
বার্তা সংস্থা ইকনা: গত ১৯ অক্টোবর ‘রড স্টেক এবং সীফুড গ্রিলে’ সংগঠনটির সাপ্তাহিক বৈঠকে এই বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত এই বক্তৃতা ও প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নিউ জার্সির বাসিন্দা মাজহার আহম্মেদ ও তার স্ত্রী মরিয়াম।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) থেকে শুরু করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এবং ইসলামী নীতি ও শরিয়াহ আইনের সঙ্গে তার সম্পর্কসহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে মুসলিম আমেরিকান এই দম্পতিকে শ্রোতারা জিজ্ঞেস করেন।
সেন্ট্রাল জার্সির আহমদীয়া মুসলমান সম্প্রদায়ের সদস্য মাজহার জানান, আন্তঃধর্মীয় সংলাপ প্রচারের মাধ্যমে তিনি স্থানীয় সম্প্রদায় ও সরকারি সংস্থার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব সম্প্রদায়ের মধ্যে বাস করছি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ইসলাম সম্পর্কে তাদের শিক্ষিত করা, মধ্যপন্থী ইসলামের আদর্শ এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সুযোগ রয়েছে।’
মাজহার বলেন, ‘আমরা সত্যিই এই সুযোগকে উপভোগ করি এবং অন্তরে তা লালন করি।’
গত ২০ বছর ধরে মরিয়াম আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন সদস্য এবং প্রতি শনিবার তিনি স্থানীয় মসজিদে ধর্ম বিষয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সম্মেলনে ইসলামে নারীদের সম্পর্কেও বক্তৃতা দিয়েছেন।
মরিয়াম ছিলেন একজন খ্রিস্টান। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি জানান, মুসলিম হওয়ার আগে ইসলাম সম্পর্কে তার অনেক ভুল ধারণা ছিল-যেমনটি এখনো অনেক লোকের মধ্য দেখা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি মানুষকে এটা জানাতে চেষ্টা করি যে ভিন্নতার চেয়ে বরং আমরা অনেক বেশি একই রকম।’
নতুন প্রজন্মের মুসলমান-আমেরিকান মাজহার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন এইসব প্রশ্ন ও ভুল ধারণা মানুষকে আজকের এই মুসলমান নিষেধাজ্ঞার দিকে পরিচালিত করেছে। আমেরিকায় মুসলিমদের নিয়ে গৎবাঁধা এসব বিষয় সম্পর্কে মানুষকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে তিনি কাজ করছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘বিভেদমূলক বিষয়গুলো এখানে কীভাবে ঘটছে তা নিয়ে আলাপচারিতা মানুষকে শুনানো খুবই কঠিন একটি কাজ। তারপরেও আমরা মানুষকে এ বিষয়ে জানাতে চাই।’
মাজার জানান, ম্যাডিসন রোটারির সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য তিনি এবং তার স্ত্রী অত্যন্ত খুশি। টেপিনটো ডটনেট