
বার্তা সংস্থা ইকনা: হুজ্জাতুল ইসলাম জাহাঙ্গিরি বলেন, মানুষের জীবনধারার উপর ইমাম হুসাইনের চল্লিশার পদযাত্রার প্রথম প্রভাব হচ্ছে তা, মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা, ঐক্য ও সংহতি তৈরি করে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যিয়ারত করা সম্পর্কে বলেছেন: যে ব্যক্তি ইমাম হুসাইন (আ.)এর কবর যিয়ারতের জন্য পদযাত্রা করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে তার প্রত্যেক ধাপের বিনিময়ে সওয়াব প্রদান করবেন এবং তার গুনাহকে মুছে দিবেন এবং তার পদমর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দিবেন।
যখন সে যিয়ারতের জন্য যাবে তখন আল্লাহ দুজন ফেরেশতাকে নির্ধারণ করবেন এবং তাদেরকে নির্দেশ দিবেন যেন, তার প্রত্যেকটি মুখনিঃসৃত ভাল বাণীকে যেন গণনা করা হয় কিন্তু তার মুখনিঃসৃত খারাপ বাণীকে যেন গণনা করা না হয় যতক্ষণ না সে ফিরে আসে।
যখন সে যিয়ারত থেকে ফিরে আসবে তখন তাকে ফেরেশতারা বলবে: হে ব্যক্তি! তোমার সকল গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে এখন থেকে তুমি আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.) এবং আহলে বাইত (আ.)এর দলের একজন সদস্য। মহান আল্লাহর শপথ তুমি কখনও জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে না এবং জাহান্নামের আগুনও তোমাকে কখনও স্পর্শ করবে না। (কামেলুয যিয়ারত, পৃষ্ঠা ১৩৪)
যুগ যুগ থেকে বিভিন্ন আলেম এবং আউলিয়াগণ পায়ে হেটে ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত করা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন এবং নিজেরাও নাজাফ থেকে কারবালা পর্যন্ত হেঁটে যেতেন। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারি (রা.) ইমাম হুসাইনের(আ.) চল্লিশার দিনে কারবালার প্রথম জিয়ারতকারী। যিনি ৬১ হিজরির ২০ই সফর ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাজার যিয়ারতের জন্য কারবালায় উপস্থিত হন।
ইমাম হাসান আসকারি (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে; ২০শে সফর ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত-এ আরবাইন পাঠ করা মোস্তাহাব। তিনি এই রেওয়ায়েতে আরও বলেছেন: মুমিনের চিহ্ন ৫টি যথা: প্রতিদিন ৫১ রাকাত নামাজ পড়া, আরবাইনের যিয়ারত পাঠ করা, ডান হাতে আংটি পরা, কারবালার মাটিতে সিজদা করা এবং উচ্চ স্বরে বিসমিল্লাহ বলা।