
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, হিজরী বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় মাস দুটি তথা মহররম ও সফর যেমনভাবে রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইতের জন্য শোক ও বেদনার মাস; তেমনিভাবে এ দুটি মাস শেষে তথা হিজরী বর্ষের তৃতীয় মাসটি হল রবিউল আওয়াল মাসটি হল রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইতের জন্য আনন্দ ও খুশির মাস। কারণ, এ মাসে আহলে বাইতের উপর জুলুমকারী এবং আহলে বাইতের অধিকার হরণকারী ও অবৈধভাবে খেলাফত দখলকারী বনী উমাইয়ার পতন ঘটেছিল এ মাসেই। এ মাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা হলো এ মাসের ১৭ তারিখে জন্ম হয়েছে মানবেতিহাসের দু'নক্ষত্রতুল্য ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও ইমাম জাফর সাদীকের (আ.)। এ দিন আমল ফিল বর্ষের শুক্রবার ভোরে মক্কা নগরীতে জন্মলাভ করেন। একই দিনে হিজরী ৮৬ সনে রাসূলের (সা.) বংশধারার ৬ষ্ঠ মাসুম ইমাম তথা ইমাম জাফর সাদীকের মহিমান্বিত জন্ম হয়েছে। তাছাড়া এ মাসের ৯ তারিখে একাদশতম ইমাম হযরত ইমাম হাসান আসকারীর শাহাদতের পর দ্বাদশতম ইমাম তথা বর্তমান যুগের ইমাম হযরত ইমাম মাহদীর (আ.) ইমামতে সূচনা লাভ করে। তাই এ দিনটি বর্তমান যুগের আহলে বাইতের অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের দিন। এছাড়াও এ মাসে আরও অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল, যেগুলো ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে থাকে।
এ কারণে আমরা যারা আহলে বাইতের (আ.) অনুসারী তারা মহররম ও সফর মাস ব্যাপী আযাদারি ও শোকানুষ্ঠান পালনের পর রবিউল আওয়াল মাসে আনন্দ ও মাহফিল পালন করে থাকি।