IQNA

রোহিঙ্গা শব্দ এড়িয়ে গেলেন পোপ

18:37 - November 29, 2017
সংবাদ: 2604433
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠকের পর দেওয়া ভাষণে রোহিঙ্গাদের নাম উচ্চারণ করেননি পোপ ফ্রান্সিস। গতকাল দেওয়া ওই ভাষণে দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং জনগণের ভোগান্তি তুলে ধরেন। তিনি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে বলেন; বৈচিত্র্য নিয়ে সম্মিলিত হতে বলেন শান্তির পক্ষে।

বার্তা সংস্থা ইকনা: পোপ সরাসরি রোহিঙ্গাদের নাম না নিলেও বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির কথা বলতে গিয়ে পরোক্ষে বিপন্ন ওই জনগোষ্ঠীকেই জোরালোভাবে নির্দেশ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভ্যাটিকানও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কেবল মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কারণেই পোপ রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেননি। এর আগে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও এমনটাই আভাস দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর দেওয়া ভাষণে দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং জনগণের ভোগান্তি নিয়ে কথা বলেন পোপ।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘মিয়ানমারের বড় সম্পদ হলো দেশটির জনগণ। এ জনগণকে প্রচ- রকমের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনের, বিভাজন তৈরিকারী অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং যুদ্ধবিগ্রহের কারণে তারা ধারাবাহিকভাবে ভোগান্তিতে আছে।’ শান্তি পুনর্প্রতিষ্ঠায় মিয়ানমারের উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পোপ জনভোগান্তি নিরসনকে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক অগ্রাধিকার হিসেবে নেওয়ার তাগিদ দেন।
পোপ আরও বলেন, ‘ধর্মীয় ভিন্নতা বিভাজন ও অবিশ্বাসের উৎস নয়, বরং এটি ঐক্য, ক্ষমা, সহিষ্ণুতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠনের শক্তি।’
ভ্যাটিকান মুখপত্র ক্রাক্সের প্রতিবেদনেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের চাপের কারণে পোপ রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেননি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেননি পোপ। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। মিয়ানমারের কার্ডিনালও পোপকে সরাসরি রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করার পরামর্শ দেন। তার পরও পোপ ফ্রান্সিস দেশটিকে একেবারে ছেড়ে দেননি; বরং তিনি মিয়ানমারের জনগণকে দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে তারা ধারাবাহিক ভোগান্তিতে আছে।’
iqna

captcha