কুরআনের ভাষায় রাসূলের (সা.) ৫টি বৈশিষ্ট্য

আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মানুষের হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার উদ্দেশ্যে যে এক লক্ষ ২৪ হাজার নবী ও রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে নির্বাচন করেছেন হযরত মুহাম্মাদকে (সা.)।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহর (সা.) কিছু অনুপম ও অতুলনীয় বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইশারা করেছেন, তম্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সূরা ৪৫ ও ৪৬ নং আয়াত। এ আয়াত

"يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا  وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا."

অর্থাৎ হে নবী! নিশ্চয় আমরা তোমাকে সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি, এবং তোমাকে তাঁর অনুজ্ঞাক্রমে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপরূপে (প্রেরণ করেছি)।

এ আয়াতের রাসূলের (সা.) ৫টি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম যে বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা হল আল্লাহ তায়ালা রাসূলকে সা. সাক্ষি হিসেবে নির্বাচন করেছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে রাসূল আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য সুসংবাদদাতা। আর তৃতীয় হচ্ছে রাসূল (সা.) হলেন মানুষকে সতর্ক ও সাবধানকারী; যাতে মানুষ বিপদগামী ও বিচ্যুতির শিকার না হয়।

আর শেষের দু’টি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রাসূল (সা.) আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে খোদামুখী ও দিকনির্দেশনার গুরু দায়িত্ব পালন করেন এবং তিনি মানব জাতীর চলার পথে অত্যন্ত উত্তম ও উজ্জল প্রদীপস্বরূপ।