IQNA

রাহুল গান্ধী আমার কথা শুনলে ত্রিপুরায় অন্য ফল হত: মমতা ব্যানার্জী

23:13 - March 03, 2018
সংবাদ: 2605174
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ত্রিপুরায় বিজেপির জয় হয়নি, পরাজয় হয়েছে সিপিএমের। সিপিএম আত্মসমর্পণ করেছে বলে কটাক্ষ করলেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী। শনিবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যে আড়াই দশকের বাম শাসনের পতন হয়েছে।



বার্তা সংস্থা ইকনা: শূন্য থেকে শিখরে উঠেছে শ্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গিয়েছে মানিকের লাল দুর্গ। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই বিজেপির নেতাদের হুঙ্কার, এবার বাংলা ও ওড়িশা টার্গেট। তারপরই নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এই জয়ে উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। আরশোলা কখনও কখনও ময়ুরের মতো পেখম মেলতে চায়। পিপীলিকার পাখা গজায় মরার জন্য। তাই এই আস্ফালন দেখাচ্ছে ওরা। কিন্তু সিপিএম আত্মসমর্পণ না করলে আর কংগ্রেস প্রতিরোধ করলে ওরা জিততে পারতো না।’

সিপিএম কেন আত্মসমর্পণ করলো? প্রশ্ন তোলেন মমতা। এরপরই বোমা ফাটান তিনি। বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে ত্রিপুরায় আসন সমঝোতা করতে চেয়েছিলাম। রাহুলকে (রাহুল গান্ধী) বলেছিলাম, আসন রফা করে আমরা ১৪টি সিটে প্রার্থী দেব। পাহাড়ি দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ১৬টি আসন ছেড়ে দিয়ে তোমরা ৩০টি আসনে লড়ো। কিন্তু কংগ্রেস আমার কথা শুনলো না। তাই এই পরিণতি।’

এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, সিপিএম যখন দেখছে নির্বাচন বিধিভঙ্গ করে বিজেপি ওখানে কোটি কোটি টাকা ঢালছে, তখন কেন প্রতিবাদ করল না? কেন ওরা আগেই আত্মসমর্পণ করলো? ইভিএমে কারচুপি করেছে বিজেপি।

মমতার হুঁশিয়ারি, ‘এই জয় দেখে যদি বিজেপি ভাবে ওরা ২৫ লক্ষ ভোট পেয়েছে বলে বাংলার ১০ কোটি মানুষের ভোট পাবে তাহলে ওরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ আর কর্ণাটকে ওরা হারবে। স্বর্ণযুগ অত সহজে আসবে না। এত সোজা গেম নয়।’ ২০১৯ সালে বিজেপি হারবেই বলে প্রত্যয়ী মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, পিপীলিকার পাখা গজিয়েছে তাই লাফাচ্ছে। বাংলা, ওড়িশা দূর অস্ত।

প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা ভোটে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু বামেদের এই পরাজয়ের পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেখিয়েছে মমতাকে। তিনি এদিন জানান, কংগ্রেস সেদিন আসন সমঝোতায় গেলে তিনি নিজেই ত্রিপুরায় চার-পাঁচটি সভা করতেন। ওখানকার মানুষ তাকে ভালবাসেন বলে মনে করেন মমতা। এরপর নতুন করে ত্রিপুরায় কাজ শুরু করার কথাও বলে যান তিনি। এমটিনিউজ

captcha