বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সৎকর্মের গুরুত্ব সম্পর্কে সূরা আছরে বলা হচ্ছে, إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) আরও বলেছেন, «اُزجُر المُسیَ بِثَوابِ المُحسِنِ» সৎকর্মশীল লোকদেরকে পুরস্কৃত করলে খারাপ লোকেরা তাদের খারাপ কাজ থেকে পিছিয়ে যায়।
ইমাম রেজা (আ.) বলেছেন: «مَن لم یَشکرِ المُنعِمَ مِنَ المخلوقینَ، لَم یَشکرِ اللهَ عزوجلَّ» যারা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে জানে না, তারা আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে না।
ইমাম সাজ্জাদ(আ.) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে আল্লাহর প্রতি সেই ব্যক্তি সব থেকে বেশী কৃতজ্ঞ যে মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
সূরা ইব্রাহীমের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে- وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ (7) وَقَالَ مُوسَى إِنْ تَكْفُرُوا أَنْتُمْ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا فَإِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ حَمِيدٌ
যখন তোমাদের প্রতিপালক ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর তাহলে তোমাদেরকে আরো দিব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠোর।
প্রকৃতিতে আল্লাহ পাকের ধরাবাঁধা নিয়মই হচ্ছে, কৃতজ্ঞতাকারীর প্রতি কল্যাণ ও ঐশী অনুগ্রহ বৃদ্ধি পাবে আর অকৃতজ্ঞরা তা থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহ তা'লা মানুষের কৃতজ্ঞতা লাভের জন্য মুখাপেক্ষী নন,মানুষের স্বার্থেই এই কৃতজ্ঞতা। এর ফলে মানুষের নীতি নৈতিকতার উন্নতি হয়,চারিত্রিক উৎকর্ষতা সাধিত হয়। পরিণামে সে আরো বেশি কল্যাণের অধিকারী হতে পারে।