বার্তা সংস্থা ইকনা: শনিবার ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গাজা থেকে ইসরাইলের দিকে জ্বলন্ত বেলুনের বিরুদ্ধে প্রথমবার এই প্রথম পদক্ষেপ নেয়া হলো।
ইসরাইলি এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তারা এটিকে দেশটির কৌশলের ব্যর্থতার প্রমাণ বলে আখ্যা দিয়েছে।
এদিকে, গাজা স্ট্রিপে মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য রবিবার ইসরাইলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা একটি বৈঠক করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিস্ফোরক বেলুন তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকা একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা সতর্কতামূলক ড্রোন হামলা চালিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী বেলুন ও ঘুড়ির ব্যবহারকে গুরুতর বলে বিবেচনা করে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গাজার রেসিসট্যান্স কমিটির অঙ্গসংগঠন ‘সালাহ আল-দিন ব্রিগেড’ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঘুড়ির বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা দেশটির কৌশলের ব্যর্থতার প্রমাণ।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরাইলের গুপ্ত হত্যার প্রচেষ্টায় তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না।
এদিকে, ঘুড়ির আগুনে ইসরাইল-গাজার সীমান্তের কাছে হাইওয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে এবং চালকদের বিকল্প রুটে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে গাজার সীমান্ত এলাকা প্রায় ৩০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ১২৩৫ একর জমির ফসল পুড়ে গেছে। পুড়ে যাওয়ার ফসলের বেশির ভাগই গম। কৃষি জমির ক্ষতির পাশাপাশি, এ অঞ্চলে ইহুদিদের বনভূমিতেও আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সূত্র: হারেৎজ