বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের অবকাশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। রুহানি বলেন, গত এক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্বীকৃত ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া। কিন্তু এবারের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ এই সমঝোতার পক্ষে কথা বলেছে।
আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইরান এ সমঝোতায় টিকে থেকে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে বলেও জানান প্রেসিডেন্ট রুহানি।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে রুহানি বলেন, পরমাণু সমঝোতায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নামের কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই এবং কেউ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করতে চাইলে তার অজুহাতের অভাব হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গেও প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ফিলিস্তিন একটি জটিল সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যের বহু সমস্যা ফিলিস্তিন সংকটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, সাত দশক আগে যদি ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্ম না দিত তাহলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আজ সম্পূর্ণ ভিন্নরকম হতো। ইহুদিবাদীদের কবল থেকে ফিলিস্তিন স্বাধীন করার আন্দোলনে ইরানের সমর্থন ছিল, আছে এবং থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় জানান প্রেসিডেন্ট রুহানি।
এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি আজ (বৃহস্পতিবার) তেহরানে পৌঁছার পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরানের সঠিক অবস্থান ও আমেরিকার বলদর্পিতার বিষয়টি এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম সম্মেলনে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর এটিই হচ্ছে এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে বড় অর্জন। বিশ্বের গণমাধ্যম ও সম্মেলনে উপস্থিত নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতিতেও এই বিষয়টি বারবার ওঠে এসেছে।
আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তোয়াক্কা না করে একপেশে নীতি অনুসরণ করছে। একথা শুধু আমরা বলছি না, অন্যরাও নানাভাবে একই কথা বলছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, এবারের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবাধিকার পরিষদ ও ইউনেস্কোর সঙ্গে আমেরিকার আচরণ এবং ইরানের পরমাণু সমঝোতাসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনের বেরিয়ে যাওয়া বা সেগুলো লঙ্ঘন করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। চলতি সম্মেলন থেকে আমেরিকার কোনো অর্জন নেই বলে তিনি জানান।
ড. রুহানি বলেন, মার্কিন গণমাধ্যমই বলছে জাতিসংঘে ট্রাম্পের ভাষণ গোটা মার্কিন জাতির জন্য অপমানকর। এ কারণে বলা যায়, ওয়াশিংটন কিছুই অর্জন করতে পারে নি।
তিনি বলেন, আমরা গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছি। বলেছি, আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চললেও আমেরিকা তা লঙ্ঘন করে চলেছে।
iqna