বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, যখন আল্লাহর হুজ্জাত প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে থাকে না এবং তারা তার অবস্থান সম্পর্কে জানে না কিন্তু তারপরও তারা ইমাম মাহদীর জন্য দিবারাত্র অপেক্ষা করতে থাকে। তখনই হচ্ছে বান্দার সাথে আল্লাহর সব থেকে নিকটতম অবস্থান।
َقْرَبُ ما يَكُونُ الْعِبادُ اِلَى اللّهِ عَزَّوَجَلَّ وَاَرْضى ما يَكُونُ عَنْهُمْ، اِذَا افْتَقَدُوا حُجَّةَ اللّهِ، فَلَمْ يَظْهَرْ لَهُمْ، وَلَمْ يَعْلَمُوا بِمَكانِهِ، وَهُمْ فى ذلِكَ يَعْلَمُونَ اَنَّهَ لَمْ تَبْطُلْ حُجَّةُ اللّهِ، فَعِنْدَها فَتَوَقَّعُوا الْفَرَجَ كُلَّ صَباحٍ وَ مَسآءٍ.
সূত্র: বিহারুল আনওয়ার ৫২তম খণ্ড, পৃ: ১৪৫।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে ইমাম মাহদীর জন্য প্রতীক্ষা করা। (কামালুদ্দিন, ২য় খণ্ড, বাব, ৫৫, হাদিস-৩)
তিনি আরও বলেছেন, ধৈর্যের সাথে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের জন্য প্রতীক্ষা করা হচ্ছে সব থেকে বড় ইবাদত। (বিহারুর আনওয়ার, ৫২তম খণ্ড, পৃ: ১৪৫)
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: ইসলাম অসহায় অবস্থায় শুরু হয়েছিল এবং আবারও অসহায় অবস্থায় ফিরে আসবে, সুতরাং অসহায়দের জন্য সুসংবাদ। (গাইবাতে নোমানি, বাব ২২, হাদিস-৪)
তিনি আরও বলেছেন: আল্লাহর নিকট ঐ সকল বান্দারা উত্তম যারা তাদের ইমাম অন্তর্ধানে থাকা সত্ত্বেও তাকে খোজে এবং তার আগমনের প্রতি আশাবাদী থাকে।(কামালুদ্দিন, ২য় খণ্ড, বাব,৩৩, হাদিস-১৬)