IQNA

মিয়ানমারের বিচারে আদালত স্থাপনের দাবি মানবাধিকার সংস্থা পিআইএলপিজি’র

3:20 - December 05, 2018
সংবাদ: 2607451
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে জরুরি ভিত্তিতে একটি অপরাধ আদালত স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে এ ঘটনায় তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একটি মানবাধিকার সংস্থা।

মিয়ানমারের বিচারে আদালত স্থাপনের দাবি মানবাধিকার সংস্থা পিআইএলপিজি’রবার্তা সংস্থা ইকনা: দ্য পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি গ্রুপ (পিআইএলপিজি) নামের এ সংস্থাটি সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে-রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে সেখানে যুক্তিসংগত প্রমাণ রয়েছে।

রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা হাজারখানেক রোহিঙ্গার সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে মূল্যায়ন করছে, সেটিকে আরও কঠোর করতে চাপ বাড়াতে ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপটি গণহত্যার পরিভাষাটি ব্যবহার করেছে। যাতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে মার্কিন সরকার বাধ্য হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো জনগোষ্ঠী দেশের সরকার কর্তৃক নৃশংস অপরাধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সুরক্ষা দিতে বাধ্য। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ ঘটনায় অতিসত্বর একটি জবাবদিহিতার কার্যক্রম কিংবা তা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে পিআইএলপিজি। এর আগেও একই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কলাকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি), জাতিসংঘের অস্থায়ী ট্রাইব্যুনাল, আন্তঃদেশীয় সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি কিংবা অভ্যন্তরীণ ট্রাইব্যুনালও এসব কার্যক্রমের অংশ হতে পারে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের সব ধরনেরে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। তারা বলছে-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা এ অভিযান চালিয়েছে।

তবে ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে মিয়ানমারের দূতাবাস থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।

সোমবার জাতিসংঘের হলোকাস্ট মোমোরিয়াল মিউজিয়ামও একটি বিবৃতি পেশ করে বলেছে- মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন, গণহত্যা চালিয়েছে, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ সেখানে রয়েছে।

রোহিঙ্গা নিপীড়নে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা কিংবা যুদ্ধাপরাধের পরিভাষা ব্যবহার থেকে দূরে থাকছে যুক্তরাষ্ট্র।

পিআইএলপিজির সোমবারের প্রতিবেদনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এতদিন জাতিগত নিধনের পরিভাষা ব্যবহার করে আসছে। তবে আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছি।  আরটিএনএন

captcha