পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ভারতের কাছে হস্তান্তরের আগে অভিনন্দনের এই ভিডিওটি ধারণ করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। ভিডিওতে অভিনন্দন নিজের পরিচয় দেয়ার পর বলেন, টার্গেট খুঁজতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তাঁর যুদ্ধবিমানটি গুলি করে নামানো হয়। যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি প্যারাস্যুটে করে মাটিতে অবতরণ করেন। এরপর স্থানীয় অনেক পাকিস্তানি তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তার কাছে আত্মরক্ষার জন্য কেবল একটি পিস্তল ছিল। তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন, তাকে স্থানীয়রা ধাওয়া করে। এ সময় পাকিস্তানি আর্মির দুই সদস্য এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর পাকিস্তানি সেনা সদস্যরা তাকে তাদের ইউনিটে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানী সেনাবাহিনী খুবই পেশাদার, আমি তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ছোট বিষয়কে অনেক বড় বানিয়ে প্রকাশ করেছে’ বলে ভিডিওতে বলেন ভারতীয় এই পাইলট। এ কারণে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভিডিওটি প্রকাশের কিছু সময় পরই শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অভিনন্দনকে ‘ওয়াঘা’ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান সরকার। তবে তাকে বিকেলে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও এ প্রক্রিয়া দুই দফায় পেছানো হয়। প্রথমে বলা হয় সাড়ে ৭টার দিকে হস্তান্তর করা হবে। শেষে বলা হয় তাকে সাড়ে ৯টার দিকে ভারতের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পর তাকে সোয়া ৯টার দিকে হস্তান্তর করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে স্বাগত জানায়। তারপর তাঁকে বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় অভিনন্দন বলেন, ‘দেশে ফেরত এসে ভালো লাগছে।’
ভারতের মাটিতে পা রাখার পরই অভিনন্দনের উদ্দেশে করে টুইটার বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “ঘরে ফেরায় অভিনন্দনকে স্বাগত! আপনার দৃষ্টান্তস্বরূপ বীরত্বে দেশ গর্বিত। আমাদের সশ্বস্ত্র বাহিনী ১৩০ কোটি ভারতবাসীর গর্ব। বন্দেমাতরম”!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ‘স্বাগত অভিনন্দন বর্তমান’।
স্বদেশের মাটিতে অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অংশে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা এয়ার মার্শাল (অব.) এস বর্তমান ও মা ড. শোভা বর্তমান। এছাড়াও সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক জনতা উপস্থিত ছিলেন।#