পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: রুহানি আজ (মঙ্গলবার) তেহরানে নয়া প্রযুক্তি বিষয়ক একটি ফ্যাক্টরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেছেন, পরমাণু সমঝোতায় বলা হয়েছে ইরান 'ফোরদু' স্থাপনায় এক হাজার ৪৪টি সেন্ট্রিফিউজ বসাতে পারবে, কিন্তু সেখানে গ্যাস ঢোকাতে পারবে না। কিন্তু আগামীকাল থেকে আমরা সেখানে গ্যাস ঢোকানো শুরু করব।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী সব পক্ষের জানা উচিত তেহরান একা এই সমঝোতা মেনে চলতে পারে না। এই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী সব পক্ষের হাতে আলোচনার জন্য দুই মাস সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে স্টিল, বিমা, জ্বালানি তেল ও ব্যাংকিংসহ ইরানের সব খাত থেকে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।
ড. হাসান রুহানি আরও বলেন, ইরানের নতুন কার্যক্রমও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র তত্ত্বাবধানে অব্যাহত থাকবে এবং অতীতের ধাপগুলোর মতো চতুর্থ ধাপেও আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
তিনি বলেন, ইরানি জাতি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সংলাপে বিশ্বাসী। ইরান অত্যন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে তিনি জানান।
২০১৫ সালে ইরান ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সই করে। এরপর ২০১৮ সালে আমেরিকা এই সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী অন্য সব পক্ষই তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে এর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতেই ইরান ধাপে ধাপে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত রাখছে। iqna