গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় কথিত আফগান শান্তিচুক্তি সই হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী আল-কায়েদাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বসবে তালেবান। বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা সরিয়ে নেবে ওয়াশিংটন।
এদিকে, আফগানিস্তানের গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে এখন কোনও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় নি। আশরাফ গনি এবং আবদুল্লা আবদুল্লাহ উভয়ই সম্প্রতি নজিরহীনভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অবশ্য দু’জনই আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক সমাধানে আরও সময় দেয়ার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেন তারা।
এ ছাড়া, সর্বশেষ ঘটনায় আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি সেনা ঘাঁটিতে তালেবান অনুপ্রবেশকারীদের হামলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের অন্তত ২৪ জন সদস্য নিহত এবং বহু জওয়ান নিখোঁজ হয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে মেনে নেয়া হবে তা নিয়ে এখনও দেশটির নেতৃবৃন্দ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। ফলে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে। আর এ অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে দেশটি সফর করছেন পম্পেও।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ বিষয়ক অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা গেলে তালেবানকে নিয়ে আন্তঃআফগান শান্তি আলোচনা শুরু হবে। এর মধ্যদিয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার পথ তৈরি হবে বলে এ আলোচনাকে আমেরিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে।
শান্তি চুক্তি সইয়ের ১৩৫ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন ১৩ হাজার সেনা সংখ্যা হ্রাস করে ৮ হাজার ৬০০তে নামিয়ে আনার কথা রয়েছে। iqna