IQNA

সোলেইমানির মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

22:46 - September 15, 2020
সংবাদ: 2611476
তেহরান (ইকনা): ইরানের জনপ্রিয় নেতা জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকেও হত্যা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের বিরোধিতায় এ পরিকল্পনা কার্যকর করতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার ফক্স নিউজ চ্যানেলের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’-এ অংশ নিয়ে নিজের মুখেই এ কথা স্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি চাইলে তাকে (আসাদ) সরিয়ে দিতে পারতাম, ম্যাটিস এর বিরুদ্ধে ছিলেন। ম্যাটিস বেশিরভাগ বিষয়েরই বিরুদ্ধে ছিলেন… তিনি জানেন না কীভাবে জিততে হয়।’

সাবেক মেরিন জেনারেল জেমস ম্যাটিস মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্পের খামখেয়ালি কর্মকাণ্ড আটকানোর চেষ্টা করতেন বলে জানা যায়। ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে অর্থবরাদ্দ কমিয়ে দেয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। অবশ্য সেসময় কোনও প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ম্যাটিস পদত্যাগ করেননি, তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।

ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস-এ জেমস ম্যাটিস সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘এ সাবেক জেনারেল একজন মহান আমেরিকান, তিনি দেশকে অনেক দিয়েছেন। আমি বলব না তিনি ভালো বা খারাপ আমেরিকান। আমি শুধু বলছি, তিনি কাজ ভালো করেননি। তাই তাকে যেতে দিয়েছি।’

সোলেইমানির মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

এদিকে, কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জেরে ইরান মার্কিন সম্পদে আঘাত হানতে পারে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার রাতে এক টুইটে ট্রাম্প বলেছে, ‘সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে সন্ত্রাসী নেতা সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড বা অন্য হামলার পরিকল্পনা করতে পারে ইরান। ইরান যেকোনও ধরনের হামলা চালালে তার জবাবে এক হাজার গুণ বেশি মাত্রার হামলা চালানো হবে।’

সোলেইমানির মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিবাদে ব্যপক বিক্ষোভ

গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান ইরানের প্রভাবশালী নেতা ও অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর পরপরই মার্কিন সম্পদে হামলা চালিয়ে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অবশ্য ইতিমধ্যে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাটিতে ব্যাপকভাবে হামলা চালিয়েছে ইরানি সেনারা। এই হামলার প্রতিবাদে মার্কিনি কোন প্রতিবাদ জানানোর সাহস পায়নি বরং এই শয়তানী শাসক চুপসে গিয়েছে।
সূত্র: jagonews24

captcha