যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়াভিত্তিক ভিডিও অনুসন্ধান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান আইপিভিএম এ বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, দাহুয়া টেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান উইঘুরদের ওপর নজরদারি চালাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ক্যামেরা তৈরি করছে, যাতে চীন সরকার সংখ্যালঘুদের গতিবিধি জানতে তা কাজে লাগাতে পারে। দাহুয়া টেকনোলজির প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিকভিশনের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর অপরাধে এ দুই প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্য দিয়ে চীনা সরকার কর্তৃক দেশটির উইঘুর, কাজাখ, হুইসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়নের নতুন নতুন পদ্ধতি উঠে আসছে, যা রীতিমতো অবাক করার মতো বিষয় বলেই মনে হচ্ছে। সিপিসির সিলেবাসে শিক্ষা দেওয়া, সন্তান ধারণের ব্যাপারে কড়াকড়ির পর ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি- চীনা সরকারের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের যেন শেষ নেই।
এ বিষয়ে দাহুয়া টেকনোলজির প্রতিনিধির মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। বহির্বিবিশ্বের নিন্দা ও নিষেধ সত্ত্বেও দেশটি উইঘুরদের মুখমণ্ডল শনাক্তের প্রযুক্তি ব্যবহার করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তথ্য অনুযায়ী, চীনা সরকারের একের পর এক পদক্ষেপে সেখানে মানবাধিকার চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র: এএনআই।