ইমরান বলেন, আমেরিকায় ইসরাইলের গভীর প্রভাব রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আরো বেড়েছে ... চাপটা সেখান থেকেই। মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশও কি পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে - এমন প্রশ্নে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও তা সামলে ইমরান খান উত্তর দেন, 'সব কথা সব সময় বলা যায় না। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো।'
ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে কেউ কি পাকিস্তানকে কোনো লোভ দেখাচ্ছে? - এই প্রশ্নে বিব্রত ইমরান খান উত্তর দেন, 'বাদ দেন এসব প্রশ্ন, অন্য কথা বলেন। আমাদের দেশ যখন নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে, তখন এসব প্রশ্ন করবেন।'
তবে এর পরপরই ইমরান খান বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ বিকিয়ে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি নিয়ে তিনি ভাবছেন না। যতক্ষণ না ন্যায়সংগত এমন কোনো মীমাংসা হয়, যা ফিলিস্তিনিদের মনঃপূত হয় ততক্ষণ আমার ভেতর দ্বিতীয় কোনো চিন্তা নেই।' অবশ্য সেই সঙ্গে ইমরান খান বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে অনেক সময় আপস করতে হয়। তিনি বলেন, নবীও বৃহত্তর স্বার্থে হুদাইবিয়ার চুক্তি করেছিলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ইসরাইলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে, কারণ, সেনাবাহিনী মনে করে তাতে ভারত-ইসরায়েল কৌশলগত সম্পর্কে কিছুটা হলেও ভারসাম্য আনা যাবে। সৌদি আরবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক স্বার্থের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানি সাংবাদিক কানোয়ার শহিদ ইঙ্গিত করেন যে সেনাবাহিনীর মাধ্যমেও হয়তো সৌদি আরব ইসরায়েল নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান বদলের চেষ্টা করছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে কোনো চাপ বা পরামর্শে নিশ্চিতভাবে ইমরান খান স্বস্তি বোধ করবেন না। এমনিতেই দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে থেকে তিনি বড় ধরনের চাপে পড়েছেন। তার ওপর ইসরায়েলকে স্বীকৃতির যেকোনো ইঙ্গিতে কট্টর ইসলামী দলগুলোর যে প্রতিক্রিয়া হবে, তা সামাল দেওয়া তার জন্য কঠিন হবে। এসব ইসলামী দলভোটে না জিতলেও রাস্তায় অরাজকতা তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সক্ষম।
সূত্র: mtnews24