
এ সময় তিনি জানান, করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে-প্রথমত, যে যেখানেই থাকেন না কেন, করোনার টিকা নেন বা না নেন, সবাই যেন অবশ্যই মাস্ক পরেন। দ্বিতীয়ত, যথাসম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং তৃতীয়ত, জনসমাগম যেখানে হচ্ছে, সেখানে যেন নির্ধারিতসংখ্যক মানুষ থাকে। কারও যেতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি যেন ঠিকমত মানা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গ্রীষ্মকালেই বেড়েছিল। সুতরাং এ বছর সেটা হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশেষজ্ঞরাও এপ্রিল, মে ও জুন মাসের ওপর দৃষ্টি দিতে বলেছেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যেন না ভাবি আমরা খুবই ভালো অবস্থায় (কমফোর্ট জোন) আছি। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো আছি।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এত বেশি লোক হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, কেউ মাস্ক পরছে না। গত বছর মাস্ক না পরার জন্য মিয়ামি বিচে পুলিশ পিটুনি দিয়েছে, জলকামান ব্যবহার করেছে। সেজন্য আমরা প্রত্যেকে যেন একটা দায়িত্ব পালন করি, পাবলিক গ্যাদারিংয়ে আমি যেন অবস্থা বুঝে অংশ নিই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। বিদেশিদের এনআইডি নেই, তাদের পাসপোর্ট দিয়ে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম একটা ব্যবস্থা নেবো। এমটি নিউজ