বার্তা সংস্থা ইকনার সাথে এক সাক্ষাৎকারে ফিলিপাইনের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি আসকারী ডুমাগায় আলাভী বলেন: ২০০১ সালে আমার বয়স যখন ১৭ তখন আমি বিভিন্ন ক্বারিদের কুরআন তেলাওয়াত শুনে সাত মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছি।
তিনি বলেন: বিশ্বখ্যাত ক্বারিদের কুরআন তেলাওয়াত তথা হানী আর-রাফায়ী ও মোহাম্মাদ সাদিক আল মানশাভী সহ অন্যান্য ক্বারিদের কুরআন তেলাওয়াত শুনে পবিত্র কুরআনের আয়াত মুখস্থ করতাম।
৩০ বছর বয়সী এ হাফেজ বলেন: আমি প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে কুরআন তেলাওয়াত শুনতাম এবং চর্চা করতাম। অবশেষে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমি প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত করি।
তিনি বলেন: ইরানে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমি প্রথম বারের মত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি।
আসকারী ডুমাগায় আলাভী আরও বলেন: এ কুরআন প্রতিযোগিতার পরিবেশ অনেক ভালো। আমি আমার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। তবে আমি বিজয়ী হতে পারব বলে আমার মনে হচ্ছে না।
আলাভী তার নিজের জীবনে কোরান প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন: পবিত্র কুরআন আমার জীবনের আলো এবং আমার যা কিছু রয়েছে তা কুরআনের বরকতেই অর্জন করেছি।
এছাড়াও ৩২তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার তেলাওয়াত বিভাগে ফিলিপাইনের ৪২ বছরের ক্বারি আব্দুল জলিল আমরুন বলেন: আমি শৈশব থেকে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত শুরু করেছি।
তিনি বলেন: কুরআনের ক্বারিদের মধ্যে আমি ওস্তাদ আব্দুল বাসিতের কুরআন তেলাওয়াত পছন্দ করি। ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও প্রদেশের মারওভী শহরের আলেম ‘ইমাম হাসান শরিফ নুরে’র নিকটে আমি কুরআন তেলাওয়াত শিখেছি।
তিনি বলেন: আমি আমার পারফরম্যান্সে ন্তুষ্ট। তবে ইরানে সফল ক্বারির অভিজ্ঞতা দেখে মনে হচ্ছে এ প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম স্থানের অধিকারী হবেন।
ফিলিপাইনের ক্বারি বলেন: ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয় বারের মত অংশগ্রহণ করছি। এছাড়াও আমি দুই বার মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় এবং একবার ইন্দোনেশিয়া অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি।
3305410