
বিয়েতে সহায়তা করার কুরআনি নির্দেশনা: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—
«وَأَنْكِحُوا الْأَيَامَىٰ مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ ۚ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ ۗ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ»
— “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন পুরুষ ও নারী রয়েছে এবং তোমাদের সৎ দাস ও দাসীদের বিয়ে করাও। তারা যদি গরিবও হয়, আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করবেন। আল্লাহ অশেষ দাতা, সর্বজ্ঞ।” (সূরা নূর, ২৪:৩২)
এখানে «الأيامى» শব্দের অর্থ—যে ব্যক্তি অবিবাহিত, তা নারী–পুরুষ উভয়কেই বোঝায়, তারা কুমারী/কুমার হোক বা বিধবা/বিপত্নীক হোক।
«وَأَنْكِحُوا» —এই শব্দটি নির্দেশ করে যে বিয়ের কাজটি শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দায়িত্ব নয়; বরং সমাজ, পরিবার ও অন্যান্য লোকজনকেও সহায়তা করতে হবে।
অর্থাৎ, পরিচয় করানো, পরামর্শ দেওয়া, উপযুক্ত পাত্র–পাত্রীর সন্ধান—এসবই কুরআনের নির্দেশিত সামাজিক সহযোগিতা।
বিবাহে সহায়তার গুরুত্ব: হাদীসে এসেছে— “যে ব্যক্তি অন্য কাউকে বিয়ে করিয়ে দেয় (পাত্র বা পাত্রীর জন্য সাহায্য করে), সে আল্লাহর আরশের ছায়ায় থাকবে।”
অর্থাৎ, নেক সুপারিশ বা সুপারিশের শ্রেষ্ঠরূপ হলো—বিয়ের ব্যাপারে সহায়তা করা।
দারিদ্র্য—বিয়ের পথে বাধা নয়
কুরআন স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—
«إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ»
—তারা দরিদ্র হলেও আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করবেন।
এখানে আল্লাহর নাম «واسع» (অর্থাৎ অশেষ দাতা) ব্যবহৃত হয়েছে—যা নির্দেশ করে যে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা বিয়ে জীবনে বরকত ও সমৃদ্ধি আনে।
ইমাম সাদিক (আ.) বলেছেন— “যে ব্যক্তি দারিদ্র্যের ভয়ে বিয়ে করে না, সে আল্লাহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে।”