আজ সন্ধ্যায়, গাজা উপত্যকায় হামলায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলি এই স্ট্রিপের কেন্দ্রে অবস্থিত আল-শুহাদা রাস্তায় একটি ভবন লক্ষ্য করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই হামলায় ৫ বছরের শিশুসহ ৮ জন শহীদ এবং ৪৪ জন আহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন ‘ইসলামি জিহাদ’ জানিয়েছে, গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যালেস্টাইন টাওয়ারের একাধিক অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে সেখানে থাকা ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তাইসির আল জাবারি শহীদ হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে আল জাবারির পাঁচ বছরের শিশুকন্যাও রয়েছে। আহত আরও ৮০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন যাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার দুপুরের পর গাজার বহুতলবিশিষ্ট একটি আবাসিক ভবনে মূল হামলা চালায় দখলদার সেনারা। বেসামরিক লোকজনে পরিপূর্ণ ভবনে হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়। এছাড়া, গাজা উপত্যকার আরো দু’টি স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরের পাশাপাশি আল-শুজাইয়া সংলগ্ন এলাকাতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতার পর ইসলামি জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শত্রুরা আমাদের জনগণকে লক্ষ্য করে একটি যুদ্ধ শুরু করেছে। আমাদের সবার কর্তব্য নিজেদের এবং আমাদের জনগণকে রক্ষা করা।’
এছাড়া, গাজা উপত্যকার ইসরাইল বিরোধী প্রধান প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকেই এই উত্তেজনা শুরু করা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সর্বশক্তি দিয়ে গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণকে রক্ষা করবে এবং প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। 4076147