IQNA

পাকিস্তানে বন্যায় এক দিনে মৃত্যু ১১৯, আরো সহায়তার আবেদন

0:01 - August 29, 2022
সংবাদ: 3472369
তেহরান (ইকনা): পাকিস্তান বন্যা পরিস্থিতিতে আরো আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আবেদন করছে। বন্যায় দেশটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১১৯ জন।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিস এক প্রতিবেদনে আজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্যরা পাকিস্তানের এই দুর্যোগে সাড়া দিয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের আরো সহায়তা প্রয়োজন।
 
উত্তর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কাগান উপত্যকায় বসবাসকারী মুহাম্মদ ফরিদ জানিয়েছেন, তার মেয়ে নদীতে ভেসে গেছে। তার মেয়ে বলেছিল, ‘বাবা, আমি আমার ছাগলের জন্য পাতা আনতে যাচ্ছি। ’ 
 
জানা গেছে, মেয়েটি নদীর তীরে গিয়েছিল এবং স্রোত তাকে টেনে নিয়ে গেছে।
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালমান সুফি বলেছেন, পাকিস্তান এখন আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।  
 
এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সাথে আটকে গেছে। আমরা যখন সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছিলাম তখন এই মৌসুমি বিপর্যয় আঘাত হানল। ’
 
তিনি আরো বলেছেন, অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়ন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
 
ডন সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পাখতুনখোয়া প্রদেশের জন্য প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ঘোষণা করেছেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।  
 
দেশের উত্তর-পশ্চিমে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় নদীগুলোর তীর ভেঙে গেছে। আকস্মিক এই বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
 
জুনায়েদ খান (২৩) বলেছেন, ‘আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছে তা আমাদের চোখের সামনেই ডুবতে শুরু করেছে। আমরা রাস্তার পাশে বসে স্বপ্নের বাড়িটি ডুবতে দেখেছি। ’
 
এ ছাড়া দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের সিন্ধু প্রদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেও হাজার হাজার মানুষকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, বন্যায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা দেশটির জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ। দেশটির কর্মকর্তারা এই ধ্বংসের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।  
 
সূত্র : বিবিসি।
captcha