IQNA

নিরাপত্তাহীন মার্কিনীরা শোনায় বিশ্বকে নিরাপত্তার বাণী !!

0:01 - January 09, 2023
সংবাদ: 3473137
তেহরান (ইকনা): মার্কিনীরা নিজেরাই নিজেদেরকে মারছে ও খুন করছে । তারা নাকি বিশ্বে নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে !! অথচ বিশ্বের যেখানেই অশান্তি ও গোলোযোগ ডেরা বেঁধেছে সেখানেই রয়েছে মার্কিনীদের প্রকাশ্য বা গোপন পদচারণা !!!

য়েস অফ আমেরিকা : " ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় ৪০০০০ এর বেশি মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে !  "
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে ৪০০০০ এর বেশি মানুষ নিহত হওয়া থেকে মনে হচ্ছে যেন দেশটিতে গৃহ যুদ্ধ বেধে গেছে ! এ কেমন আজব অসভ্য অমানবিক দেশ ও জাতি ? এই সময়ে - বিশ্বায়ন ও আধুনিক তথ্য প্রবাহের যুগে যখন গোটা পৃথিবী একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে তখন মার্কিন মুলুকে এত মানুষ হত্যা ( ৪০০০০ এর বেশি ) - তাও এক বছরে ( ২০২২ সালে ) - কি প্রমাণ করে না যে বিগত শতাব্দীগুলোতে  শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীরা আমেরিকার অধিকাংশ রেড ইন্ডিয়ান আদিবাসীকে মেরে কেটে গণহত্যা চালিয়ে খতম ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ?!!! 
 
যখন এক গ্রামে কী ঘটেছে বা ঘটছে তার খবর পাশের গ্রামের লোকেরাই রাখত না এবং সাত সমুদ্র ১৩ নদীর পারে অবস্থিত আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে কী ঘটছে ও সেখানকার আদিবাসীদের যে মহা হত্যা ও জাতি নিধন যজ্ঞ চালাচ্ছে অবৈধ বহিরাগত জবরদখলকারী ইউরোপীয় অভিবাসীরা তা কেমন করে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের লোকেরা জানবে ? আর তখন এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে খবর পৌঁছাতেই অনেক সময় লেগে যেত এবং তখনকার মানুষদের সে সব সংবাদ শোনার না ছিল আগ্রহ ও সুযোগ  আর না ছিল সংবাদ মাধ্যম সংক্রান্ত তাদের সাক্ষরতা ও জ্ঞান ( media literacy ) !! আর এখন পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে কেউ হাঁচি দিলে  সেটার শব্দ পৃথিবীর অপর প্রান্তের লোক টের পেয়ে যায় ! অর্থাৎ আগের শতাব্দীগুলোর তূলনায় এখন কোন ঘটনা গোপন রাখা বেশ কষ্টসাধ্য। ঐ বিগত শতকগুলোয় অস্ট্রেলিয়া, উত্তর , দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা , আফ্রিকা ও এশিয়ায় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের পরিচালিত বহু ব্যাপক বিশাল হত্যাকাণ্ড , গণহত্যা  ও জাতি নিধনযজ্ঞ বিশ্ববাসীদের দৃষ্টির অন্তরালে গোপনই থেকে গেছে ।
 
ঊনবিংশ শতকের কাও বয় সংস্কৃতি - যা বসচা , ঝগড়া , উগ্রতা , মারামারি কাটাকাটি , হানাহানি , হত্যা , সহিংসতা ও হিংস্রতার অপসংস্কৃতিরই নামান্তর তা - এখনও ঐ কাও বয়দেরই বংশধর বর্তমান মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান ( রয়েছে ) যার প্রমাণ হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র জনিত সহিংসতায় গত এক বছরেই ৪০০০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু !! এ থেকে প্রমাণিত হয় যে এখনও মার্কিনীদের শিরা ও ধমনীতে  চরম হিংস্র অসভ্য রক্তপিপাসু দস্যু প্রকৃতির কাও বয় পূর্বপুরুষদের রক্তই প্রবহমান। অস্ত্র , মদ ও নারীর ( অবারিত অবাধ যৌনতা) প্রতি প্রবল ঝোঁক ও আসক্তি , সহিংসতা , হিংস্রতা , পাশবিকতা, বর্বরতা অতীতের কাওবয়দের মতো বর্তমানে তাদের বংশধর মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান আছে। তাই এ সব বদ অভ্যাস ও বদ গুণ মার্কিনীরা কোনো দিন ছাড়তে পারবে না । এরা চতুষ্পদ পশুর চাইতেও অধম ও হীন - নীচ। এদের বিশ্বাস করতে নেই। অতএব এদের থেকে সাবধান।
 
যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজের নাগরিকদের জান , মাল ও মান - সম্ভ্রমের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম সেই দেশ ও রাষ্ট্র কিনা সমগ্র বিশ্ববাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি করে এবং আমাদের মধ্যে অনেকের বিশ্বাস : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে নাকি নিরাপত্তা দেবে ? সত্যি খুব হাস্যকর । তাই না । অনেকটা এ কথার মতো যে যার যেটা নেই সে তা দিতে পারে !!! যদি এ কথা সত্য হয় তাহলে তো বলতে হয় যে অনিরাপদ ( নিরাপত্তাহীন ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে নিরাপত্তা দেবে !!!

ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

৮-১-২০২৩

 

captcha