বুধবার রাতে, ইহুদিবাদী শাসক আরও একবার প্রবল বিমান হামলা চালিয়ে দক্ষিণ লেবাননের এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করেছে। এসব হামলায় ‘দির কুনুন’ শহরের আশেপাশের ‘সারবিন’, ‘তির ফেলসিহ’, ‘সালা’, ‘দির কিফা’, ‘দির কিফা’, ‘বাতুলিহ’, ‘সারবিন’, ‘সাল’-এর আশপাশের শহরগুলো ও দক্ষিণ লেবাননের জাবকিন এবং "দক্ষিণ শাম" ইহুদিবাদী শাসকদের যোদ্ধাদের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইহুদিবাদী সরকারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারিও বলেছেন যে শাসকের সেনাবাহিনী উত্তর তীর অভিযানে লেবাননের হিজবুল্লাহর 2,000 এরও বেশি পয়েন্ট লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এদিকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের উন্মাতাল বোমাবর্ষণে লেবাননে গতকাল (বুধবার) আরো ৭২ জন শহীদ এবং ৪০০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত টানা তিনদিন ইহুদিবাদ ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালালো।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল ঘোষণা করেছে যে, ইসরাইলি বিমান হামলায় এই সমস্ত মানুষ হতাহত হয়েছেন। দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটির বাইরের জুন এবং মায়েসরা পার্বত্যাঞ্চলেও বিমান হামলা হয়েছে। এসব এলাকায় সাধারণত ইসরাইল হামলা করে না।
ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের নাবাতিয়েহ অঞ্চলে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে। লেবাননের সরকারি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় সেখানে একটি হাসপাতালের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈরুতের দক্ষিণ-পূর্বে চৌফ পার্বত্যাঞ্চলে হামলার ফলে চারজন শহীদ হয়েছেন। অন্যদিকে বৈরুতের প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম মায়েসরায় আরেক হামলায় তিনজন শহীদ হন। এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননে নয়জন এবং পূর্বাঞ্চলে মারা গেছেন সাতজন।
এদিকে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ইসরাইলি বোমা হামলার কারণে লেবাননে প্রায় ৯০,০০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।