
মদিনার কুবা মসজিদে ২০২৪ সালের শুরু থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি ইবাদত করেছেন। এখানে আগত মুসলিমরা অসাধারণ সব সেবা পেয়ে থাকেন। আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা বাড়াতে এ মসজিদে নামাজ আদায় ও জিয়ারাহ করে থাকেন তারা। মসজিদে কুবার রয়েছে ১৪০০০ বর্গমিটার সুসজ্জিত চত্বর। যেটি জিয়ারাহকারীদের সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়।
এ মসজিদে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের জন্য সার্বক্ষণিক ৬টি বিশেষ বাহন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মসজিদ ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে ৮০০০ বর্গমিটার নতুন কার্পেটিং করা হয়েছে। ৯৮০০০ লিটার জমজম পানির মজুদ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৫০০টি লাইটিং ইউনিট যুক্ত করা হয়েছে, যা ভিজ্যুয়াল শৈলিকে অসাধারণ করে তুলে। এ কারণেই মসজিদে কুবা অনন্য একটি জায়গা।
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত পাওয়ার পর এটাই প্রথম মসজিদ, নির্মাণ করেছেন। এমনকি ইসলামের ও উম্মতে মোহাম্মদির প্রথম মসজিদ। মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী আর মসজিদে আকসার পরই মসজিদে কুবার সম্মান ও ফজিলত। এ মসজিদের আলোচনা কোরআনে করা হয়েছে। মসজিদ সংলগ্ন অধিবাসীদের একটি বিশেষ গুণের প্রশংসা করা হয়েছে।
মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ে অত্যাধিক ফজিলত রয়েছে। মসজিদে কুবায় নামাজের ফজিলতের কথা অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হযরত ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্বারোহণ করে কিংবা হেঁটে মসজিদে কুবায় আগমন করতেন এবং দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
এই সম্প্রসারণ শেষে, মসজিদটির আয়তন হবে ৫০০০০ বর্গমিটার, যাতে প্রায় ৬৬০০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এটি বর্তমান ধারণক্ষমতার দশগুণ বেশি। সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন 4245146#