
সে হিসেবে তাঁকে বালাভী বলা হয়। প্রসিদ্ধ সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) তাঁর জামাতা।
আল্লামা ওয়াকিদি (রহ.)-এর মতে, হজরত কা’ব ইবনে উজরা (রা.) একজন আনসারি সাহাবি। তবে অন্যদের মতে তিনি আনসারদের হালিফ, অর্থাৎ মৈত্রী চুক্তিবদ্ধ বন্ধু।
তবে কোন গোত্রের, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
(উসদুল গাবাহ : ৪/১৮১, ক্র. ৪৪৬৫; মুখতাসার তারিখে দিমাশক ২১/১৭৭-১৭৮; মু‘জামুস সাহাবা : ৫/১০০)
প্রথম দিকে তিনি মূর্তিপূজার প্রতি আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে মহান আল্লাহ তাঁর অন্তরে হিদায়াতের আলো জ্বালিয়ে দিলে তিনি খাঁটি মনে তাওবা করে ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং আজীবন ইসলামের প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কোরআনের আয়াত ও তার সমস্যা সমাধান
হজরত কা’ব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ইহরাম অবস্থায় হুদায়বিয়ায় ছিলাম।
কাফিররা আমাদের সেখানেই আটকে রাখে। তখন আমার চুল থেকে উকুন গড়িয়ে পড়ে চেহারায়। রাসুল (সা.) আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘উকুন কি কষ্ট দিচ্ছে?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে মাথা মুণ্ডন করো, তবে ফিদিয়া আদায় করতে হবে।’
হাদিসে আছে, হজরত কা’ব (রা.) বলেন, আমার ক্ষেত্রেই এই আয়াত নাজিল হয়—‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ থাকে অথবা তার মাথায় কষ্টদায়ক কিছু হয়, তবে সে রোজা বা সদকা অথবা কোরবানি দ্বারা ফিদিয়া আদায় করবে।
’ [সুরা : বাকারার ১৯৬ নং আয়াতাংশ]। (বুখারি : ২/৬০২, মুসলিম : ১/৩৮২, তিরমিজি : ২/১২৬)
ইন্তেকাল
হজরত কা’ব ইবনে উজরা (রা.) মদিনায় ইন্তেকাল করেন ৫১ হিজরিতে। কেউ কেউ ৫২ বা ৫৩ হিজরির কথাও বলেছেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৭৫ বা ৭৭ বছর। (উসদুল গাবাহ : ৪/১৮১-১৮২, ক্র. ৪৪৬৫; মুখতাসার তারিখে দিমাশক : ২১/১৭৯)