
আল-আহদ সূত্রে, গতকাল ১৩ তির (বাংলাদেশে ৪ জুলাই) হিজবুল্লাহ কর্তৃক বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরের সাইয়্যেদুশ্শুহাদা (আ.) কমপ্লেক্সে আয়োজিত আশুরার নবম রাতের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন:
“যে ইসলামকে ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার রক্ষা করেছেন, তা মানবতার চিরন্তন ফিতরাতের প্রতিনিধিত্ব করে। ইসলাম বলে: একজন পুরুষ হিসেবে আপনি অস্ত্র ধারণ ও যুদ্ধ করে দেশ ও জনগণের রক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছেন; আর একজন নারী হিসেবে আপনার দায়িত্ব ভিন্ন — অস্ত্র ধারণ করা আপনার কর্তব্য নয়।”
তিনি আরও বলেন: “নারী ও পুরুষ উভয়েই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ। যদিও পুরুষই যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র ধারণ করে, তবুও নারী-পুরুষ উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
নাঈম কাসিম উল্লেখ করেন: “লেবাননে আমাদের অনেক অগ্রগামী মুখ রয়েছে যারা ইসলামী পন্থার প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই পন্থা হল আমাদের বিশ্বাসের বাস্তব অনুবাদ।”
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন: “হিজবুল্লাহর প্রাক্তন মহাসচিব শহীদ সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি এক বীর মুজাহিদ হিসেবে কঠিন সময়ে ঈশ্বরীয় সাহায্যের উপর ভরসা রেখে ইমাম হুসাইনের (আ.) পথ অনুসরণ করে মুক্তি ও সম্মানের সংগ্রামকে বহন করেছেন।”
তিনি বলেন:“আমরা যখন সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছি, বিশেষ করে আল-আকসা ঝড়ের সময়, তখন বহু শহীদ আত্মত্যাগ করেছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। আমরা জাতির শহীদ নেতা, মর্যাদাবান সাইয়্যেদ নাসরুল্লাহকেও দেখেছি, যিনি এই হুসাইনী আন্দোলনকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়েছেন, তাঁর পুত্র সাইয়্যেদ হাদিকে উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের সাথে একত্রে সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন।”
শেষে তিনি বলেন: “কারণ ইমাম হুসাইন (আ.) এই পথটি আন্তরিকতা ও সততার সাথে শুরু করেছিলেন এবং আমাদের কাছে তা হস্তান্তর করেছেন, যেন আমরা উপলব্ধি করি — ন্যায় ও অন্যায়ের যুদ্ধে নারী-পুরুষ উভয়েই দায়িত্বশীল।”
“তোমাদের মাথা উঁচু করে রাখো এবং নিশ্চিত থাকো যে আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, বিশ্বাস করি এবং এর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশপ্রেম মানে হলো দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা, এর রক্ষা, সন্তানদের সঠিকভাবে লালন-পালন, ভালোবাসা এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকা।”
“আমরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক। ইসলাম আমাদের দেশপ্রেম, পিতৃপুরুষের ভূমির প্রতি অনুরাগ এবং দেশের অভ্যন্তরে একজন বিশ্বাসী ও সত্ চরিত্রবান নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানায়।” 4292637#