
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৬৫৫ জন অংশগ্রহণকারী ১৭টি আরব দেশ থেকে এবং ৬১১ জন ৪৬টি অ-আরব দেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন।
আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশর, সুদান ও সোমালিয়া ৩১৬ জন প্রতিযোগী নিয়ে শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাগরেব অঞ্চলের দেশগুলো (মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া প্রভৃতি) ২১০ জন প্রতিযোগী নিয়ে, আর লেভান্ট অঞ্চল ও ইরাকের প্রতিযোগী সংখ্যা ৯২ জন।
অন্যদিকে, উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে মোট ৩৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন।
নির্বাচন পদ্ধতি:
বাছাই কমিটি প্রাথমিকভাবে সব আবেদনকারীর তেলাওয়াত মূল্যায়ন করে ১০০ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করবে।
এই ১০০ জন দোহায় অনুষ্ঠিত প্রাথমিক পর্বে অংশ নেবে, যা ২০ পর্বের টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে। প্রতিটি পর্বে ৫ জন করে প্রতিযোগী অংশ নেবেন, এবং প্রতি পর্ব থেকে একজনকে সেমিফাইনালের জন্য নির্বাচিত করা হবে।
সেমিফাইনাল পর্যায়ে ২০ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে ৫ জন রিজার্ভ প্রতিযোগীও থাকবেন। এখান থেকেও প্রতি পর্বে একজন করে ফাইনালে উঠবেন। শেষে শীর্ষ পাঁচজন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
সমগ্র প্রতিযোগিতা রমজান মাসে কাতার টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারিত হবে।
পুরস্কার কাঠামো:
মোট পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ লক্ষ কাতারি রিয়াল (QAR 1.5 million)। প্রথম স্থান: ৫,০০,০০০ রিয়াল, দ্বিতীয় স্থান: ৪,০০,০০০ রিয়াল, তৃতীয় স্থান: ৩,০০,০০০ রিয়াল, চতুর্থ স্থান: ২,০০,০০০ রিয়াল, পঞ্চম স্থান: ১,০০,০০০ রিয়ালG
বিচারক প্যানেল: বিচারকমণ্ডলীতে থাকবেন মোট ৬ জন বিশেষজ্ঞ , ৩ জন স্বীকৃত ক্বারি ও তাজবিদ-বিশেষজ্ঞ,
এবং ৩ জন স্বরলিপি, কণ্ঠসৌন্দর্য ও মাকাম-বিশেষজ্ঞ।
কাতারা ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রথম স্থান অর্জনকারী প্রতিযোগীর পূর্ণ কুরআন তেলাওয়াত স্টুডিওতে রেকর্ড করে সিডি আকারে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, কাতার ধর্ম ও ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়াকফ অধিদপ্তর ২০১৭ সালে প্রতিযোগিতার সূচনালগ্ন থেকে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। 4315983#