মুসলমানদের জন্য একটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে তারা সর্বদা হালালভাবে জীবন-যাপন করবে। কেউ যিদ হারাম খায় তাহলে তার দুনিয়ার জীবনে কোন বরকত থাকবে না এবং আখিরাতেও তার জন্য জাহান্নামের আজাব বয়ে আনবে।
ইমাম আলী নাকী আল হাদি(আ.) বলেছেন: হারাম সম্পদের কোন শূল্য নেই, আর তা বৃদ্ধি পেলেও তাতে কোন বরকত নেই। তা দান করলে সওয়াব নেই, তা গচ্ছিত রাখলে জাহান্নামের আজাব ডেকে আনবে।
পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে: «يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْباطِلِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ تِجارَةً عَنْ تَراضٍ مِنْكُمْ؛[نساء/29]
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের ধন-সম্পদ গ্রাস কর না; তবে (হ্যাঁ) তোমাদের পারস্পরিক সম্মতিতে কারবার হলে (এবং তাতে একে অপরের সম্পদ থাকলে) ভিন্ন কথা এবং তোমরা নিজেদের হত্যা কর না ; এবং নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের (অবস্থার) প্রতি পরম করুণাময়।
হারাম খেলে তার আকিদা নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্তর মরে যায়। তারা আর ভাল কথা শুনতে পারে না। আশুরার দিন ইমাম হুসাইন(আ.) তার বিরোধীদেরকে বলে ছিলেন তোমরা যে আমার কথা শুনতে পাচ্ছ না এর কারণ হচ্ছে তোমাদের উদরসমূহ হারামে ভরে গেছে।
ইমাম মাহদী(আ.) বলেছেন: «الْحِكْمَةُ لَا تَنْجَعُ فِي الطِّبَاعِ الْفَاسِدَةِ؛[ যাদের অন্তর মরে গেছে তাদের কাছে সত্যের বাণী পৌছায় না এবং হিকমত পৌছায় না।