শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হাসান আসকারী(আ.)-এর সময়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং তিনি বিভিন্ন হাদিসে ইমাম মাহদীর অন্তর্ধান সম্পর্কে যে আলোচনা করে গেছেন তা থেকে শিয়া সমাজ ইমাম মাহদীর অন্তর্ধানের বিষয়ে বেশ প্রস্তুত ছিল।
ইমাম জাওয়াদকে(আ.) আব্বাসীয়রা গৃহবন্দি রেখেছিল কিন্তু ইমাম হাদী ও ইমাম আসকারীকে তারা সেনানিবাসে বন্দি করেছিল এবং সর্বদা তাদের উপর নজদারী করত। আর এজন্যই তাকে আসকারী বলা হয়।
ইমাম হাসান আসকারীর উপর এত বেশী কড়া নজরদারি করা হয় যে তিনিই একমাত্র ইমাম যাকে মক্কা এবং মদিনায় যাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয় নি।
এমনকি রাসূল(সা.)-এর সময় থেকেই ইমাম মাহদীর অন্তর্ধানের বিষয়টি চলে আসছে কিন্তু ইমাম হাসান আসকারীর সময় থেকে তা আরও বেশী গুরুত্ব পায় এবং শিয়ারা চাক্ষুশভাবে দেখতে পায় যে কিভাবে ইমাম গায়েবে থাকতে পারেন।
ইমাম আসকারী(আ.) তার সমেয় কয়েকজন প্রতিনিধি বানিয়েছিলেন। আর তাদের মধ্যে কয়েকজন ইমাম মাহদীর স্বপ্লমেয়াদী অন্তর্ধানের সময়ও প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর গাইবাতে কোবরা শুরু হলে ইমাম মাহদী(আ.) পুরোপুরি দৃষ্টির অন্তরালে চলে যান এবং তার সাধারণ প্রতিনিধি হিসাবে ফকিহগণকে পরিচয় করিয়ে যান।