বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম আলী ইবনে মুসা রেজা (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.) যখন আবির্ভূত হবেন পৃথিবী তার জ্যোতিতে আলোকিত হয়ে যাবে এবং তিনি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড স্থাপন করবেন। সুতরাং তখন কেউই কারো প্রতি অত্যাচার করবে না।
ইমাম রেজা(আ.) বলেছেন,
نَّ اَلْإِمَامَةَ أَجَلُّ قَدْراً وَ أَعْظَمُ شَأْناً وَ أَعْلَى مَکَاناً وَ أَمْنَعُ جَانِباً وَ أَبْعَدُ غَوْراً مِنْ أَنْ یبْلُغَهَا اَلنَّاسُ بِعُقُولِهِمْ أَوْ ینَالُوهَا بِآرَائِهِمْ أَوْ یقِیمُوا إِمَاماً بِاخْتِیارِهِمْ إِنَّ اَلْإِمَامَةَ خَصَّ اَللَّهُ عَزَّ وَ جَلَّ بِهَا إِبْرَاهِیمَ اَلْخَلِیلَ ع بَعْدَ اَلنُّبُوَّةِ وَ اَلْخُلَّةِ مَرْتَبَةً ثَالِثَةً وَ فَضِیلَةً شَرَّفَهُ بِهَا وَ أَشَادَ بِهَا ذِکْرَهُ فَقَالَ: «إِنِّی جََاعِلُکَ لِلنََّاسِ إِمََاماً ...»
ইমামতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এত বেশী যে তা কারও পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। কেউ ইমামকে নির্বাচন করতে পারে না। ইমামতের পদ এমনই একটি পড় যা নবীগণের মত আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়। যেভাবে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন: আমি তোমাদের জন্য ইমাম নির্ধারণ করেছি।
সূরা বাকারার ১২৪ তম আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন:
وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ
যখন ইব্রাহীমকে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করে দিলেন, তখন পালনকর্তা বললেন, আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা করব। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও (ইমাম) নিযুক্ত করুন। তিনি বললেন, আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।
হযরত ইব্রাহীম (আ.) আল্লাহর কাছে তার বংশধরদের জন্যেও ইমামতের মর্যাদাবানের প্রার্থনা করেন৷ আল্লাহপাক তার এই প্রার্থনার জবাবে বললেন, ইমামতের এই মর্যাদা বংশানুক্রমিক নয় বরং যার যোগ্যতা আছে সেই এ মর্যাদার অধিকারী হতে পারবে।
রাসূলের দায়িত্ব হলো- আল্লাহর বাণী ও বিধি-বিধান পৌঁছে দেয়া এবং জনগণকে ভালো কাজের সুসংবাদ ও মন্দ কাজের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া। অপরপক্ষে ইমামের দায়িত্ব হলো সমাজে ওই বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। শাবিস্তান